চ্যাম্পিয়নস ট্রফি /
শিরোপা জিততে ভারতের দরকার ২৫২ রান
শুরুর ৩ ওভার দেখেশুনে খেললেও এরপর ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ওপেনাররা। তবে মাঝের ওভারগুলোর ব্যর্থতায় সেই ধারা ধরে রাখতে পারেনি কিউইরা। তাই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রানের বেশি করতে পারেনি দলটি।
আজ রবিবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে টসে জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিতে নেমে প্রথম তিন ওভারে দেখেশুনে খেললেও এর পর দুর্দান্ত ব্যাটিং করে কিউইরা। তবে স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর থেকেই নড়বড়ে হয়ে যায় কিউই ব্যাটিং।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওপেনিংয়ে নামেন উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র। শুরু থেকে ইয়ং একটু রক্ষণাত্মক থাকলেও রাচিন ছিলেন আগ্রাসী। প্রথম ৩ ওভারে ১০ রান রান তোলা নিউজিল্যান্ড হার্দিক পান্ডিয়ার করা চতুর্থ ওভারেই করে ১৬ রান। মোহাম্মদ শামির করা পরের ওভারেই কিউইরা তোলে ১১ রান। তবে স্পিনাররা আসার পর দুই নিউজিল্যান্ড ওপেনারের রান উৎসব থামে।
প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ৬৯ রান করে নিউজিল্যান্ড। তবে এর মধ্যেই এক উইকেট হারায় তারা। লেগ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর করা অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউ হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইয়ং (২৩ বলে ১৫)।
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর ১১তম ওভারের প্রথম বলেই আউট দারুণ ব্যাট করতে থাকা রাচিন। ২৯ বলে ৩৭ রান করা এই ওপেনারকে সরাসরি বোল্ড করেন চায়নাম্যান স্পিনার কুলদীপ যাদব। ৪টি চারের পাশাপাশি একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। কুলদীপ তার পরের ওভারে ফেরান নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার কেন উইলিয়ামসনকেও। বল বুঝে উঠতে না পেরে সরাসরি কুলদীপের হাতে সহজ ক্যাচ উঠিয়ে দেন। ১৪ বলে ১১ রান করেই শেষ হয় তার ইনিংস। চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।
৭৫ রানে ৩ উইকেট হারানো নিউজিল্যান্ড চতুর্থ উইকেট হারায় ১০৮ রানে। এরপর পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন ড্যারিয়েল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। তবে তারা ছিলেন বেশ ধীরগতির। ৫২ বলে ৩৪ রান করে আউট হন ফিলিপস। তবে মাটি কামড়ে উইকেটে পড়ে থাকেন মিচেল। দলীয় ২১১ রানে তিনি যখন ফেরেন তখন তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১০১ বলে ৬৩ রান।
শেষদিকে কিউইদের রান আড়াইশ ছাড়ান মাইকেল ব্রেসওয়েল। ৪০ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ভারতের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদব। একটি করে শিকার করেছেন মোহাম্মদ শামি ও রবীন্দ্র জাদেজা।