৪২২ করে প্রাইম ব্যাংকের ইতিহাস, নাঈমের ১৭৬
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ইতিহাস গড়েছে প্রাইম ব্যাংক। লিগের ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে দলীয় সংগ্রহ চার শ রানের দেখা পেয়েছে তারা। দলের এই সংগ্রহে বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ নাঈম। করেন ১২৫ বলে ১৭৬ রান।
আজ রবিবার ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন ওপেনার নাঈম। গড়েন একের পর এক মাইলফলকও। তিনি ৩৮ বলে তুলে নেন ফিফটি।
তার সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে সাব্বির রহমানের রান আসে ১৮.২ ওভারে ১৪০ রান। ৬৩ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৩ রান করে সাজঘরে ফেরত যান সাব্বির। তবে ৮২ বলে লিস্ট–এ ক্রিকেটে নিজের নবম শতক তুলে নেন নাঈম।
এর আগে লিস্ট–এ ক্রিকেটে কখনো দেড় শ ছোঁয়ার রেকর্ড ছিল না নাঈমের। সেঞ্চুরি করার ২৪ বল পরই তা করে ফেলেন তিনি। লিস্ট–এ তে নিজের সর্বোচ্চ ১৩৬ রানকেও ততক্ষণে ছাড়িয়ে যান এই বাঁহাতি ওপেনার। অবশ্য সেখানেই থামেননি। তার সামনে সুযোগ ছিল সৌম্য সরকারের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে লিস্ট–এ তে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার।
কিন্তু ১৮ চার ও ৮ ছক্কার ইনিংসে ১২৫ বলে ১৭৬ রান করেই আউট হন নাঈম। সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ক্যাচ দেন অলক কাপালির হাতে। নাঈম আউট হওয়ার সময় প্রাইম ব্যাংকের স্কোর ৩৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১০। ইনিংসে ৮ ছক্কার ছয়টিই নাঈম হাঁকান ব্রাদার্সের পেসার নূর হোসেনের বলে, বাকি দুটি ছক্কা হজম করেন সোহাগ গাজী।
এর আগে ২০১৯ সালে সাভারে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন সৌম্য। সেটিই এখন অবধি লিস্ট–এ ক্রিকেটে একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি কোনো বাংলাদেশির। নাঈমের ইনিংসটি হয়ে থাকল লিস্ট–এ তে বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ।
তালিকায় সবার ওপরে সৌম্যর ২০৮ রানের ইনিংস। এরপরই আছেন রাকিবুল হাসান, ২০১৭ সালে মোহামেডানের হয়ে ১৯০ রান করেছিলেন। তালিকার তিনে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে এনামুল হকের ১৮৪ ও চারে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ২০২২ সালে মুমিনুলের ১৮২ রান।