পাকিস্তানের পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ দিল আইসিসি
১৯৯৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। দীর্ঘ ২৯ বছর পর আবারও আইসিসির কোনো ইভেন্ট ফিরেছে পাকিস্তানে। ২০০৯ সালে শ্রীলংকা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার কারণে দীর্ঘদিন দেশটিতে বন্ধ ছিল খেলা।
চলমান চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারত না খেললেও সফরে গেছে বাকি ৬টি দেশ। তাদের জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছিল পাকিস্তান পুলিশ ও সেনাবাহিনী। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল বাকি থাকলেও পাকিস্তান অধ্যায় শেষ হয়েছে। পাকিস্তানে সফলভাবে টুর্নামেন্টটি শেষ হওয়ায় পাকিস্তান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর প্রশংসা করেছেন আইসিসির নিরাপত্তা ম্যানেজার ডেভ মুসকের।
আইসিসির এই কর্মকর্মা বলেন, ‘পাকিস্তানের সকল পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতে একটা ছোট ভিডিও বানাতে চাই। পুলিশ এবং সেনাবাহিনী অসাধারণ কাজ করেছে। টুর্নামেন্টের আগে, সফরকারী দলগুলি পাকিস্তানে আসার ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। আমার ব্যক্তিগতভাবে কোনো সন্দেহ ছিল না। যাদের সঙ্গে কাজ করেছি তাদের পেশাদারত্ব ব্যতিক্রমী। আমাকে যে সহযোগিতা এবং সম্মান দেখানো হয়েছে তা অসাধারণ।’
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের তিনটি ভেন্যু করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে খেলা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, শুধু লাহোর আর রাওয়ালপিন্ডিতেই নিরাপত্তার জন্য ম্যাচ চলাকালে নিয়োজিত করা হয়েছে ১২ হাজার পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মী। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকবেন ১৮ জন সিনিয়র অফিসার, ৫৪ জন ডিএসপি, ১৩৫ জন পরিদর্শক, ১,২০০ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ১০,৫৫৬ জন কনস্টেবল এবং ২০০ জনেরও বেশি নারী পুলিশ অফিসার।
নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দলগুলো ও ভক্তদের জন্য বিশেষ চার্টার ফ্লাইট পরিচালনার ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড। দেশটির জাতীয় বিমান সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)-কে বলে এই ব্যবস্থা করেছে পিসিবি।