বেফাঁস মন্তব্য করে নিষিদ্ধ মরিনহো
ক্যারিয়ারজুড়ে অসংখ্য ক্লাবকে সাফল্য এনে দেওয়ার পাশাপাশি কম বিতর্কেও জড়াননি পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহো। রিয়াল মাদ্রিদে হোক বা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে, ইন্টার মিলানে কিংবা চেলসি বা টটেনহাম হটস্পারে, সব জয়গায় সব ক্লাবেই ফুটবলীয় কারণের বাইরে নানা কারণে নানা সময়ে কম-বেশি আলোচনায় ছিলেন তিনি। ফেনারবাচের দায়িত্ব নিয়ে তুরস্কে পাড়ি জমানোর পরও ব্যতিক্রম কিছু নয়। এবার ফুটবলারদের নিয়ে মন্তব্য করার কারণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন তিনি।
গত সোমবার তুরস্কের সুপার লিগে ফেনারবাচে ও গালাতাসারাইয়ের মধ্যে ম্যাচ ০-০ সমতায় ড্র হয়। ম্যাচ শেষে মরিনহো প্রতিক্রিয়ার এক পর্যায়ে বলেছিলেন, গালাতাসারাইয়ের বেঞ্চে থাকা ফুটবলাররা ‘বানরের মতো লাফালাফি করছিল।’ এ ছাড়া তুরস্কের কোনো রেফারি এই ম্যাচে থাকলে ‘বিপর্যয়’ হতো বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
ম্যাচের পরপরই গালাতাসারাই ক্লাব কর্তৃপক্ষ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছিল। তার আগেই মরিনহোকে শাস্তি দিল তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন।ফেনারবাচের কোচকে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে তারা। পাশাপাশি তাকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তুর্কি ফেডারেশন জানায়, ১৬ লাখ ১৭ হাজার লিরা (প্রায় ৪৪ হাজার ডলার) জরিমানা গুণতে হবে মরিনিয়োকে।
মরিনহোকে শাস্তি দেওয়ার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন জানায়, তুর্কি রেফারির প্রতি ‘অপমানজনক ও আক্রমণাত্মক’ মন্তব্যের জন্য এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
দুই ক্লাবের অনুরোধে ওই ম্যাচে বিদেশি রেফারি আনা হয়েছিল। ম্যাচটি পরিচালনা করেন স্লোভেনিয়ার রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ। ২০২২ বিশ্বকাপ, ২০২০ ও ২০২৪ ইউরোতে ম্যাচ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা আছে তার। তবে ম্যাচে তুরস্কের কোনো রেফারি থাকলে ‘বিপর্যয়’ হতো বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে মরিনহো বলেন, রেফারিদের কক্ষে গিয়ে তিনি তাদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। মরিনহো বলেছেন, ‘ম্যাচ শেষে রেফারিদের ড্রেসিং রুমে গিয়েছিলাম আমি। চতুর্থ রেফারিও সেখানে ছিল, যিনি তুরস্কের রেফারি। মূল রেফারিকে (ভিনচিচ) আমি বলেছি, ‘‘এখানে আসার জন্য ধন্যবাদ। কারণ বড় একটি ম্যাচে আপনি এসেছেন এবং দায়িত্ব পালন করেছেন।’’ এরপর চতুর্থ রেফারির দিকে ঘুরে বলেছি, ‘এই ম্যাচে আপনি রেফারি থাকলে বিপর্যয় হয়ে যেত।’ তাকে যখন এটা বলেছি, আমি আসলে (তুরস্কের) সবাইকেই বুঝিয়েছি, তাদের সহজাত প্রবণতা।’