ইব্রাহিমের ইতিহাস গড়া সেঞ্চুরিতে আফগানদের রানের পাহাড়
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। আর উইকেটে টিকে রইলেন শেষ ওভারের প্রথম বল পর্যন্ত। মাঝখানে দুর্দান্ত ব্যাটিংশৈলীতে গড়লেন ইতিহাস। ১৪৬ বল খেলে আউট হলেন ১৭৭ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেলে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়ল আফগানিস্তান।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইব্রাহিম ভাঙলেন কিছুদিন আগেই করা বেন ডাকেটের রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৬৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইংলিশ ব্যাটার ডাকেট। অবশ্য সেই ম্যাচে ৩৫১ রান করেও হেরেছিল ইংল্যান্ড। ইব্রাহিম এদিন নিজের একটি রেকর্ডও ভাঙেন। ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানে নিজের আগের করা ১৬২ রান ছাড়িয়ে গেলেন তিনি।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের পাটা উইকেটে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতই ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ৩৭ রানের মধ্যে ফিরে যান রাহমানুল্লাহ গুরবাজ, সেদিকুল্লাহ আতাল ও রহমত শাহ। ব্যাটিং ইনিংসে সেটিই আফগানদের একমাত্র চাপ। এরপরে দেখা গেল শুধু আফগান আধিপত্য। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক হাশমাতুল্লাহ শাহিদিকে নিয়ে ১০৩ রান যোগ করেন ইব্রাহিম।
ইংলিশ বোলারদের হতাশ করেন ইব্রাহিম
১৪০ রানের মাথায় ৬৭ বলে ৪০ রান করে হাশমাতুল্লাহ ফিরলে রানের গতি আরও বাড়ে দলটির। পঞ্চম উইকেটে ওমারজাইকে নিয়ে মাত্র ৬৩ বলে ৭২ রান যোগ করেন ইব্রাহিম। ৩১ বলে ৪১ রান করে আউট হন ওমারজাই। ৪০ ওভার শেষে দলীয় ২১২ রানের মাথায় ফেরেন তিনি।
আফগান ইনিংসে সবচেয়ে মূল্যবান জুটি গড়েন ইব্রাহিম ও মোহাম্মদ নবি। দুজনে মিলে মাত্র ৫৫ বলে যোগ করেন ১১১ রান। অর্থাৎ, বলপ্রতি প্রায় ২ রান করে নেন এই দুজন। এই জুটিতে মাত্র ২৪ বলে ৪০ রান যোগ করেন নবি। আর শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে ১৪৬ বলে ১৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ফেরেন ইব্রাহিম। ১২টি চার ও ৬ ছক্কায় সাজানো ছিল অসাধারণ এই ইনিংস।
লিয়াম লিভিংস্টোন ছাড়া কোনো ইংলিশ বোলারই এদিন ইকোনমি ছয়ের নিচে রাখতে পারেননি। ৫ ওভারে ২৮ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন তিনি। জোফরা আর্চার ৩ উইকেট নিলেও ১০ ওভারে দিয়েছেন ৬৪ রান।