বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত, ভারতে বললেন বিজিবি ডিজি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩৭
শেয়ার :
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত, ভারতে বললেন বিজিবি ডিজি

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ভারতের রাজধানীতে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর সংবাদে বলা হয়, বৈঠকে বিজিবি ডিজি বলেন, ‘বাংলাদেশে সাম্প্রতিক অতীতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার খবর অতিরঞ্জিত। আমরা দুর্গাপূজার সময় আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮ কিলোমিটারের মধ্যে পূজা প্যান্ডেলগুলোর নিরাপত্তা দিয়েছিলাম এবং সেই পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

সীমান্তে বেড়া নির্মাণ ইস্যুতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক টানাপোড়েনের বিষয়ে মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ‘কোনো পক্ষেরই সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে স্থায়ী কাঠামো নির্মাণের অনুমতি নেই। ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া দেওয়া হলে যোগাযোগের শূন্যতা দেখা দেয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আপত্তি জানিয়েছে এবং যথাযথ পরামর্শ ও পারস্পরিক আলোচনা হওয়া দরকার। আমরা ভবিষ্যতে এই বিষয়টি সমাধান করার আশা করছি, যাতে নো-ম্যানস ল্যান্ডে নির্মাণকাজ করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘বর্ডার এলাইনমেন্ট সংক্রান্ত ১৯৭৫ সালের ধারা পরিবর্তনের কোনো আলোচনা হয়নি। এটি এই বৈঠকে আলোচনা সম্ভব নয়। শূন্যরেখা থেকে কতটা পিছিয়ে বেড়া দিতে হবে, তা সবসময়ই আলোচনার অংশ। আমরা এই অবস্থানগুলোতে যৌথ পরিদর্শনের অনুরোধ করেছি।’

অন্যদিকে, ভারত সীমান্তে নজরদারি ব্যবস্থা সম্পর্কে বিএসএফ ডিজি দলজিৎ সিং চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত পাহারা দেওয়ার জন্য আমরা যথেষ্ট ফোর্স পেয়েছি। একইসঙ্গে আমাদের কাছে প্রযুক্তিগত উপায়ও রয়েছে, অত্যাধুনিক নজরদারি ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা আমাদের সিস্টেমের প্রতিটি এলাকায় নজর রাখছি যাতে আমরা সীমান্তে যেকোনো অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ৪ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ২ হজার ২১৭ কিলোমিটার, ত্রিপুরার সঙ্গে ৮৫৬ কিলোমিটার, মেঘালয়ের সঙ্গে ৪৪৩ কিলোমিটার, আসামের সঙ্গে ২৬২ কিলোমিটার ও মিজারামের সঙ্গে ৩১৮ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।