বই বিক্রি বেড়েছে

চপল মাহমুদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
বই বিক্রি বেড়েছে

অমর একুশে বইমেলা পার করল ১৭ দিন। এবার প্রকাশের দিক দিয়ে এগিয়ে কবিতার বই, এরপর উপন্যাস। কবিতা ও উপন্যাসের পরই রয়েছে গল্পের বইয়ের সংখ্যা। গতকাল বইপ্রেমীদের ভিড় খুব বেশি না থাকলেও বইয়ের বিক্রি ভালো ছিল বলে জানা গেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়ন ঘুরে জানা যায়, চাহিদার শীর্ষে রয়েছে উপন্যাস ও গল্পের বই। গোয়েন্দা কাহিনীর প্রতি তরুণ পাঠকদের আকর্ষণ দেখা যাচ্ছে।

লোকশিল্প গবেষক ও কবি ড. আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, গল্পের বইয়ের পাঠক একেবারেরই কম বলা যাবে না। বর্তমান সময়ে দেখছি লেখককেন্দ্রিক এক ধরনের পাঠক দাঁড়িয়ে গেছে। এটাকে আমি পজিটিভ দিক হিসেবে দেখছি। মেলায় নতুন বইয়ের

মধ্যে পাওয়া যাচ্ছেÑ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘অনুবাদসমগ্র’, আনোয়ারা সৈয়দ হকের ‘দহসি জীবন’, জিয়া হাশানের ‘প্রিয় ১৫ গল্প’, ডি সাইফের ‘ম্যানিকুইন’, মুম রহমানের ‘অন্ধকারের গল্পগুচ্ছ’, ইরফান তানভীরের ‘সাহেবজাদা’, মঈন শেখের ‘জুলাইয়ের অশেষ পাখিরা’, সালমান সাদিকের ‘একুরিয়াম’, আজহার শাহিনের ‘অপেক্ষার ট্রেন’, বিশ্বজিৎ ঘোষের ‘প্রত্যাবর্তন’, জুবায়ের আমিনের ‘আমি ও বিকালের সোনালী রোদ’, মোস্তফা মামুনের ‘সেরা দশ গল্প’, সালেহ উদ্দিন আহমদের ‘বেচু সরদারের ট্রুথ কমিশন’, কানিকা রশীদের ‘উল্লাস’, খন্দকার আলী কাওসারের ‘প্রেমে প্রহসনে’, হাসানুজ্জামান রিপনের ‘বলা বাহুল্য’, দন্ত্যস রওশনের ‘গল্পবেলা’, আলী আববাসের ‘লেখকের মৃত্যু’, ধ্রুব এষের ‘বুড়োর লম্বা দাড়ির কাহিনী’, হাসান হাফিজের ‘পিঁপড়া বাহিনী ও ঘাসফড়িং’, অন্তিক মাহমুদের ‘ভুলা’, তাপস রায়ের ‘রসিক শরৎচন্দ্র’, কমলেশ রায়ের ‘শাপে বর’, সুজন বড়ুয়ার ‘গল্পগুলো এত মজার’, মনি হায়দারের ‘উড়িতেছে সোনার ঘোড়া’, ফারহানা ফেরদৌসী ইমতিয়াজের ‘আকাশ যেখানে শেষ হয়’, মাহবুবুল হকের ‘দুখু আর সুখু’, মেসবাহ য়াযাদের ‘চব্বিশের বাংলাদেশ’, তওফিক মুজতাবা ও জুনায়েদ সাদেকের ‘আবার নরকুম্ভীর’, হাসান হাফিজের ‘সাত দেশের রূপকথা’, পার্থ প্রতিম দে’র ‘ধূলিশয্যা’, খান মুহাম্মদ রুমেলের ‘হেঁটে হেঁটে সন্ধ্যার দিকে’, আশরাফ আহমেদের ‘শেষ অধ্যায়’, স্বকৃত নোমানের ‘নির্বাচিত গল্প’, তানভীর রানা মুস্তাফিজের ‘শুকনো পাতায় বৃষ্টির গান’, ইকবাল খন্দকারের ‘নিশি ঘাতক’, শাহআলম সাজুর ‘চার গোয়েন্দা ভয়ংকর জঙ্গলে’, প্রদীপ্ত দেব চৌধুরীর ‘চক্র’, ‘মেহবুবা হক রুমার ‘পঁচিশে পঞ্চরস’, সাবরিনা নিপুর ‘সুতো’, মোহিত কামালের ‘শ্রেষ্ঠ গল্প’, সুমন মজুমদারের ‘ঘোড়াগুলো ঘুমাবে’, ঝুমকি বসুর ‘ছাতিম ফুলের গন্ধ’, দীপেন ভট্টাচার্যের ‘এক হাজার ছয়শ আঠারো নম্বর শহর’, সনোজ কণ্ডুর ‘সবুজ দ্বীপের নোঙর’, জোবায়ের মিলনের ‘মাথাহীন মানুষের দেশে’, জামান মনিরের ‘টুকলুর স্মার্ট ঘড়ি’, সাদাত সায়েমের ‘মীনের অসুখ ও অন্যান্য গল্প’, হাফেজ আহমেদের ‘উলঙ্গ শহর’, নু-আলমের ‘৩৫শে জুলাই’, মুহাম্মদ আসাদুজ্জামানের ‘বাংলা সাহিত্যের সেরা গল্প’, শান্তা মারিয়ার ‘পাখিটা এলিয়েন ছিল’, সফিকুল ইসলামের ‘দৈত্য পাহাড়ের পিশাচ’।

মূলমঞ্চর : ‘আল মাহমুদ : জীবন ও কবিতা’ শীর্ষক আলোচনা। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মজিদ মাহমুদ। আলোচনায় অংশ নেন মুসা আল হাফিজ, কাজী নাসির মামুন। সভাপতিত্ব করেন মাহবুব সাদিক।

লেখক বলছি : নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন মতিন বৈরাগী, ফজলুল হক তুহিন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান : ঝর্ণা আলমগীরের পরিচালনায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী এবং রূপশ্রী চক্রবর্তীর পরিচালনায় শিল্প বাংলার পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন এ টি এম আশরাফ হোসেন, ওয়াদুদুর রহমান রাহুল, সোমা সরকার, নিপা আক্তার, সানজিদা ইয়াসমিন লাভলী, মাসুদুল হক, মো. আলী হোসাইন, মমতা দাসী, মোখলেসুর রহমান মিন্টু।