সয়াবিনে সংকট সবজিতে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
সয়াবিনে সংকট সবজিতে স্বস্তি

শীতকালীন সবজি বাজারে পর্যাপ্ত থাকায় দামে স্বস্তি এসেছে। তবে নিত্যপণ্যের দাম এখনও বাড়তি। বাজারে রয়েছে সয়াবিন তেলের সংকট। চালের দামেও স্বস্তি ফেরেনি। বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য। ইতোমধ্যে চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমতে শুরু করেছে। যদিও বেশ কয়েকদিন ধরে চালের দাম কেজিতে বেড়েছিল ৪-৬ টাকা।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজারে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন বাজারে সবচেয়ে বেশি সংকট সয়াবিন তেলের। সংকট থাকায় দামও বেশি। দেড় মাস আগেও এ ধরনের সরবরাহ সংকট তৈরি করেছিল কোম্পানিগুলো। এরপর সরকার কেজিপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা করে বাড়িয়ে দেয়। ফলে দু-এক সপ্তাহ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও গত দুই সপ্তাহ ধরে আবারও সংকট তৈরি হয়েছে।

রাজধানীর বাজারগুলোর অনেক দোকানেই তেল পাওয়া যাচ্ছে না। সরবরাহ কম থাকায় খুচরা পর্যায়ের দোকানিরা চাহিদা অনুযায়ী তেল পাচ্ছে না। যতটুকু পায় তা নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কোম্পানি সরাসরি তেলের অর্ডার নিচ্ছে না। তাদের কিছু ডিলার এখন তেল বিক্রি করছে নিজের দোকান থেকে। ডিলাররা গায়ের দামে বিক্রি করছে। পরিবহন খরচ দিয়ে ওই তেল খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করতে গেলে গায়ের দামের চেয়ে ৪-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হবে, এজন্য অনেক খুচরা

ব্যবসায়ী তেল নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।

খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বাড়ার কারণে মোকামগুলোতে চালের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে গত চার-পাঁচ মাসে প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছিল। যা এখন এক-দুই টাকা করে কমতে শুরু করেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। মাঝারি চাল ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা ও সরু চাল ৭২ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

তবে সবজির বাজার এখনও নাগালের মধ্যে রয়েছে। বাজারে এখনও শীতকালীন সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দামও অনেকটাই কম। ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিতে মিলছে নতুন আলু। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজির মধ্যে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং লম্বা লাউ (শীতকালীন লাউ) প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় কেনা যাচ্ছে।

এদিকে, বাজারে মুরগির দাম এখনও চড়া। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা এবং সোনালি মুরগির কেজি মানভেদে ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ডিমের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। খুচরায় ফার্মের মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রমজান সামনে রেখে ডাল ও ছোলার দামে তেমন কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি কেজি ভালো মানের মসুর ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ছোলা ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।