একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল
২০২২ সালের পর ২০২৪ সালেও দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জয় করে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। দারুণ এই অর্জনের জন্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ পাচ্ছেন সাবিনা খাতুনরা।
আজ বৃহস্পতিবারসংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ক্রীড়া বিভাগ থেকে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে মনোনীত করা হয়েছে। এবার পুরস্কার পাবেন এমন তালিকায় আছেন সাংবাদিকতা, সংগীত, চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র, ভাষা ও সাহিত্য এবং গবেষণায় অবদান রাখা আরও ১৪ জন ব্যক্তি।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে একুশে পদক ২০২৫ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা খুবই আনন্দিত এই বছর ‘বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল’কে একুশে পদকের জন্য বিবেচনা করা হয়েছে।
এ বছর শিল্পকলায় পদক পাচ্ছেন আজিজুর রহমান (মরণোত্তর-চলচ্চিত্র), উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর-সংগীত), ফেরদৌস আরা (সংগীত), নাসির আলী মামুন (আলোকচিত্র), রোকেয়া সুলতানা (চিত্রকলা)। এছাড়া ভাষা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক পাচ্ছেন হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর) ও শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর)।
অন্যদের মধ্যে সাংবাদিকতায় মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর), সাংবাদিকতায় ও মানবাধিকারে মাহমুদুর রহমান, সংস্কৃতি ও শিক্ষায় ড. শহীদুল আলম, শিক্ষায় ড. নিয়াজ জামান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মেহেদী হাসান খান, সমাজসেবায় মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর) ও গবেষণায় মঈদুল হাসান (মূলধারা ৭১ এর রচয়িতা) পুরস্কার পাচ্ছেন।
ফেসবুক পোস্টে ফারুকী আরও বলেন, ‘গুণী মানুষেরা পদকের অনেক ঊর্ধ্বে। আমার মনে হয়না তারা কেউ পদকের জন্য কাজ করেন। রাষ্ট্র তাদের সম্মান জানায় “আপনার অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ” এটা বলার জন্য। ২০২৫-য়ের একুশে পদক নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং পুরস্কার সম্পর্কিত জাতীয় কমিটি অনেক দিন ধরেই নিবিড়ভাবে কাজ করেছে। আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দিয়ে পুরস্কার প্রদান করে। এবার পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি সম্মাননাপত্র ও ৪ লাখ টাকার চেক দেওয়া হবে।