ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে চাকরি হারানো সাংবাদিকের পাশে দাঁড়ালেন খাজা

স্পোর্টস ডেস্ক
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৩১
শেয়ার :
ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে চাকরি হারানো সাংবাদিকের পাশে দাঁড়ালেন খাজা

ইসরায়েলের আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিনের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে রিটুইট করে চাকরি হারিয়েছেন এক অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক। এবার তার পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশটির তারকা ক্রিকেটার উসমান খাজা।

অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক পিটার লালর দেশটির শ্রীলংকা সফর কভার করার সময় সেন রেডিও থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। তিনি জানান, যে তাকে বরখাস্ত করার সময় সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তার 'রিটুইট করা পোস্টটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং সংবেদনশীল নয়'। তবে সর্বদা ফিলিস্তিনের সমর্থনে আওয়াজ তুলেছেন খাজা। তিনি নিজের ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে লালরকে বরখাস্ত করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং তার পাশে দাঁড়িয়েছেন।

শ্রীলংকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার প্রথম টেস্টে তৃতীয় দিনের কমেন্ট্রি করার সময় চ্যানেল থেকে কয়েকটি কল পেয়েছিলেন লালর এবং পরের দিন সকালে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। লালর তার বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘আমাকে এক কলে বলা হয়েছিল গুরুতর সংস্থাগুলো অভিযোগ করছে। আরেকটিতে আমাকে বলা হয়েছিল যে এটি এমন নয়। হয়তো আমি ভুল বুঝেছি। আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার বিরুদ্ধে ইহুদি বিদ্বেষী বলে অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু আমি তীব্রভাবে আপত্তি জানিয়েছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিল যে আমার রিটুইটিং ভারসাম্যপূর্ণ এবং সংবেদনশীল নয়। অনেক লোক অভিযোগ করেছে।’

পরে খাজা পিটারের প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন দেখিয়েছেন এবং বলেছেন যে গাজার জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ইহুদি জনগণের অনিরাপদ মনে করার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বরখাস্ত করা সাংবাদিককে একজন ভালো হৃদয়ের লোক বলে অভিহিত করেছেন।

খাজা নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘গাজার জনগণের পক্ষে দাঁড়ানো ইহুদি বিরোধী নয় এবং অস্ট্রেলিয়ার আমার ইহুদি ভাই ও বোনদের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। তবে এটা ইসরায়েল সরকার এবং তাদের শোচনীয় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ছিল। এর সাথে ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের বিষয় জড়িত। দুর্ভাগ্যবশত ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা সবসময় বিদ্যমান থাকে। পিট একটি ভালো মনের ভালো লোক। তার আরও ভালো কিছু প্রাপ্য।’

উল্লেখ্য বর্তমানে শ্রীলংকা সফরে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেখানে প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন উসমান খাজা। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ৩৫২ বলে ২৩২ রান করেন তিনি। যার সুবাদে অস্ট্রেলিয়া ইনিংস এবং ২৪২ রানে টেস্ট জিতে নেয়।