চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হবে না উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, নেপথ্যে ২ দেশ

স্পোর্টস ডেস্ক
৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩:০৭
শেয়ার :
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে হবে না উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, নেপথ্যে ২ দেশ

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াই শুরু হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল ও অস্ট্রেলিয়া দল দেরিতে পাকিস্তান যাবে, তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে পাকিস্তানি গণমাধ্যমগুলো। 

যদিও এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ব্যাপারে কোনো সূচি চূড়ান্ত হয়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হয়েছিল বলে জানিয়েছে জিও নিউজ। ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। যেখানে ইংল্যান্ড দলের লাহোরে পৌঁছানোর কথা ১৮ ফেব্রুয়ারি। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখবে আরও একদিন পর। 

দুবাইয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন তথা ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আসর শুরু করবে বাংলাদেশ। দুইটি দলই সেখানে পৌঁছাবে ১৫ ফেব্রুয়ারি। আর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১২ ফেব্রুয়ারি যাবে আফগানিস্তান। ৮ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করাচিতে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ থাকায় আগেই থেকেই পাকিস্তানে আছে স্বাগতিক দল এবং নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। 

সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইংল্যান্ডের মাসব্যাপী ভারত সফরে খেলা শেষ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি। তারপর এক সপ্তাহ বিরতি নেবে তারা। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার দুই টেস্ট এবং দুই ওয়ানডে সিরিজ শেষ হবে ১৪ ফেব্রুয়ারি। লাহোরে যাওয়ার পথে চার দিনের বিশ্রাম নেবে তারা।

আইসিসির সূত্র জানিয়েছে, ‘আইসিসি এবং পিসিবি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া দলের আগমনের সময়সূচী, তাদের খেলোয়াড়দের চাপ ব্যবস্থাপনার কথা বিবেচনা করে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

সূত্রটি আরও নিশ্চিত করেছে যে, পাকিস্তানে দেরিতে পৌঁছানোর কারণে ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া উভয় দলই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে। যদিও ২টি করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল তাদের। 

পাকিস্তান আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কমপক্ষে ১০ টি ম্যাচ আয়োজন করবে। অন্যদিকে, দুবাইতে ভারতের ৩ ম্যাচ ও প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ভারত যদি ৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলতে না পারে তাহলে ম্যাচটি লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। অন্যথায়, ফাইনালটি দুবাইতে অনুষ্ঠিত হবে।