দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ইতিহাসের পাতায় পাকিস্তানের নোমান
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক তুলে নিলেন নোমান আলী। এই হ্যাটট্রিকে আবার ইতিহাসের পাতাতেও নাম লেখালেন তিনি। পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম স্পিনার হিসেবে মাইলফলকটি ছুঁলেন তিনি।
আজ মুলতানে পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। যেখানে কেভিন সিনক্লেয়ারের ব্যাট হয়ে বাবর আজম ক্যাচে নিতেই টেস্টে প্রথম পাকিস্তানি স্পিনার হিসেবে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েন নোমান।
আগের দুই বলে জাস্টিন গ্রিভসকে বাবরের ক্যাচ ও তেভিন ইমলাচকে এলবিডব্লিউতে আউট করেছেন নোমান। টেস্টে পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে এটি ষষ্ঠ হ্যাটট্রিক। তবে আগের পাঁচটিই ছিল পেসারদের। আর পেস-নির্ভর পাকিস্তানের মাটিতে স্পিনাররা হ্যাটট্রিকই পেলেন মাত্র তৃতীয়বার।
জাভেদ মিয়াঁদাদদের বিপক্ষে ১৯৭৬ সালে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হ্যাটট্রিক করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের অফ স্পিনার পিটার প্যাথেরিক। এরপর ২০০৩ সালে বাংলাদেশের লেগ স্পিনার অলক কাপালি হ্যাটট্রিক করেন পেশোয়ারের আরবাব নিয়াজ স্টেডিয়ামে।
পাকিস্তানের মাটিতে আজকের আগে সর্বশেষ হ্যাটট্রিক দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। করোনা মহামারির আগে রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তিন বলে উইকেট নেন নাসিম শাহ।
পাকিস্তানের পেসারদের মধ্যে অন্য চারটি হ্যাটট্রিকের দুটি ওয়াসিম আকরামের। দুটিই ১৯৯৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ৬ মার্চ লাহোরের পর ১৪ মার্চ ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হ্যাটট্রিক করেন আকরাম। অন্য দুটি আবদুর রাজ্জাক (২০০০) ও মোহাম্মদ সামির (২০০২)। এ দুটি ম্যাচের প্রতিপক্ষও ছিল শ্রীলঙ্কাই।
৩৮ বছর বয়সী নোমানের হ্যাটট্রিকের দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো ব্যাটারই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। হ্যাটট্রিকের কারণে ৪ উইকেটে ৩৮ থেকে ৭ উইকেটে ৩৮ রানে পরিণত হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানে গুটিয়ে যায়।