ধীরগতির শুরুর পর শেষদিকে ঝড়, নাঈমের ব্যাটেও হারল খুলনা
ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৫৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন খুলনা টাইগার্সের মোহাম্মদ নাঈম শেখ। অথচ শুরুর ৪০ বলে এই ওপেনার করেছেন মাত্র ৩২ রান। অথচ শেষ ৪৫ রান করতে এই ব্যাটার খেললেন মাত্র ১৯ বল। তবে একেবারে জয়ের কাছে গিয়ে নাঈম আউট হলে বরিশালের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্নও শেষ হয়ে যায় খুলনার।
বরিশালের বিপক্ষে খুলনা হেরেছে ৭ রানে। বরিশালের ১৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে খুলনা থামে ১৬০ রান করে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৫ রান। প্রথম তিন বলে ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ ৩ বলে ১৩-তে নিয়ে আসেন নাঈম। তবে রিপন মন্ডলের করা চতুর্থ বলে আউট হয়ে যান তিনি। আউটসাইড এজ হলে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন ডেভিড ম্যালান। ক্যাচ ফসকালেই সম্ভাবনা ছিল বাউন্ডারি হওয়ার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৬৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় খুলনা। ২ বলে কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অভিজ্ঞ ইমরুল কায়েস। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৯ (৫১ বলে) রান যোগ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও নাঈম। যদিও লক্ষ্য বিবেচনায় তাদের জুটি ছিল খুবই ধীরগতির। ৬৫ রানের মাথায় মিরাজ (২৯ বলে ৩৩) ও ৭৪ রানে বিদায় নেন অ্যালেক্স রস। এরপরই আফিফের সঙ্গে দারুণ জুটি গড়েন নাঈম। ১৭ বলে ২৭ রান করে খুলনাকে জয়ের স্বপ্ন দেখান মূলত আফিফই। শেষদিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন নাঈম। তবে শেষ পর্যন্ত তাতে কাজ হয়নি।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল। ১৬ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি ৮৭ রানের মধ্যেই হারায় ৭ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আজ গোল্ডেন ডাক বরিশালের দুই টপ অর্ডার ব্যাটার তামিম ইকবাল ও ডেভিড ম্যালান। ৪ বলে ৫ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন মুশফিকুর রহিম। প্রাথমিক বিপদ সামাল দিয়ে ৪৭ রানের জুটি গড়েন প্রথা ভেঙে ওপেনিংয়ে নামা তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
৬৩ রানের মাথায় হৃদয় ফিরলে বরিশালের ইনিংসে আবার দেখা দেয় ‘মিনি ধস’। ৩০ বলে ৩৬ রান করা হৃদয়ের পতনের পরপরই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মোহাম্মদ নবি ও ফাহিম আশরাফ। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বরিশালের হয়ে কাজের কাজটি করেন আটে নামা রিশাদ হোসেন। মাহমুদউল্লাহ ধীরগতিতে রান তুললেও খুলনার বোলারদের তুলোধুনো করে ছেড়েছেন রিশাদ।
১৩৪ রানের মাথায় থামে ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহর পথচলা। ৪৫ বলে ৩টি চার ও ২ ছক্কায় কাটায় কাটায় ৫০ রান করে আউট হন তিনি। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে রিশাদের ব্যাটে আসে ৩৯ রান। মাত্র ১৯ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কার সাহায্যে এই রান করেন তিনি। শেষদিকে জাহানদাদ খান ৫ বলে ১০ ও তানভির ইসলাম ৪ বলে ১২ রানের ক্যামিও খেললে ১৬৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় বরিশাল।