নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যে বিরোধ নেই: মির্জা ফখরুল
জিয়ার জন্মদিনে সমাধিতে নেতাকর্মীর ঢল
নানা কর্মসূচিতে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৯০তম জন্মদিন পালন করেছে বিএনপি। ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। প্রতি বছরের মতো দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে দিনব্যাপী আলোচনাসভা, কবিতা পাঠসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এ দিন শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ঢল নামে।
গতকাল বেলা ১১টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপি মহাসচিব।
জুলাই-আগস্টের মধ্যে বিএনপি নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু অনেক পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- দাবিটি অবাস্তব। এত দ্রুত নির্বাচন ও সংস্কার সম্ভব নয়; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। সংস্কারও চলবে, নির্বাচন হবে এবং যে দল সরকারে আসবে, তারা সংস্কারগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলতে পারিÑ আমরা প্রতিটি সংস্কারকে এগিয়ে নেব।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের এসব রিপোর্ট নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করব না। সরকার বলেছে, রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা আলোচনা করবে এবং তারপরেই সিদ্ধান্ত হবে। ঐকমত্য ছাড়া কোনোটাই গ্রহণযোগ্য হবে না।
জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবন-কর্ম তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়েই মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে এসে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য দ্রুত সব ক্ষেত্র সংস্কার শুরু করেছিলেন। তিনিই একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন। তারই যোগ্য উত্তরসূরি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আজকে ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন। আমরা আশাবাদী, দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারি, সেই ব্যবস্থা নেবে সরকার।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, বিএনপি নেতা আহমদ আজম খান, রুহুল কবির রিজভী, জয়নুল আবদিন ফারুক, আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম আজাদ, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফুল আলম নিরব, আমিনুল হক, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, রফিকুল আলম মজনু, তানভীর আহমেদ রবিন, মোস্তফা জামান, এসএম জাহাঙ্গীর, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক খান, যুবদলের আবদুল মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, রাজীব আহসান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।