গ্রিন ইউনিভার্সিটি /
শিক্ষার্থীদের পছন্দের অন্যতম ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ
ব্যবসা প্রশাসন শিক্ষা তথা বিবিএ-এমবিএ। বাংলাদেশে এই বিষয় পড়ে ক্যারিয়ার গড়া কিংবা উদ্যোক্তা হওয়ার ট্রেন্ডটা শুরু হয়েছে মূলত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হাত ধরে। যদিও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পাঠদান অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। ডাক্তারি কিংবা প্রকৌশলের মতোই ব্যবসায় প্রশাসনও দারুণ চাহিদাসম্পন্ন একটি বিষয়। বিজনেস অনুষদে পড়ে উদ্যোক্তা যেমন হওয়া যায়, তেমনি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যাংক, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপণনসহ অনেক ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গঠন করা যায়।
মূলত সে লক্ষ্যেই দীর্ঘদিন ধরে সাফল্যের পরিচয় রাখছে রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। উচ্চশিক্ষিত ও বিদেশ থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলীর মাধ্যমে ব্যবসায় প্রশাসনের কোর্সগুলো পরিচালনা করে আসছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, আইবিএ’র শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর মেয়াদি স্নাতক ডিগ্রি ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নির্বাহীদের জন্য উইকেন্ড এমবিএ (এক্সিকিউটিভ) কোর্স চালু রয়েছে। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে বৈচিত্র্যময় কোর্স থাকে। এসব কোর্সের মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম সম্পর্কে আগেভাগেই ধারণা পেয়ে থাকেন।
শিক্ষাজীবন থেকেই এদের মধ্যে এক ধরনের পেশাদারিত্বের লক্ষণ দেখা যায়। ফলে চাকরিদাতারা যে ধরনের স্মার্ট ও পটু কর্মী খোঁজেন, তার প্রত্যেকটি বিষয়ই পাওয়া যায় বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্নকারীদের মধ্যে। এ ছাড়া চার বছরের বিবিএ প্রোগ্রামে অসংখ্য অ্যাসাইনমেন্ট, ফিল্ড ওয়ার্ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর, প্রেজেন্টেশনে অংশ নিতে হয়। ফলে সহজেই এই প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা নিজেদের চাকরির জন্য প্রস্তুত করে ফেলেন। বিভাগের চেয়ারপারসন মাহমুদ ওয়াহিদ বলেন, গ্রিন ইউনিভার্সিটি বিবিএ-এমবিএ প্রোগ্রামগুলোর কোর্সগুলো যুগোপযোগী। এ ছাড়া মানসম্মত শিক্ষাদানের পাশাপাশি জব মার্কেটে যাওয়ার আগে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়- সেটিতেই আমাদের নজর থাকে।
আরও পড়ুন:
পাঠাগার গড়া যাদের স্বপ্ন ছিল
গ্রিন ইউনিভার্সিটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও স্বল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় এখন দেশের অন্যতম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। ইউএস-বাংলা গ্রুপের সঙ্গে গ্রিন ইউনিভার্সিটির সম্পাদিত চুক্তির আওতায় গ্রুপের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা অ্যাসেট, ইউএস-বাংলা লেদার, হাইটেক, মিডিয়া, মেডিক্যাল কলেজ এবং ইউএসবি এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরির সুযোগ পাবে। অবকাঠামো ক্ষেত্রে অনন্য সুবিধা পাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। ঢাকার পূর্বালের আমেরিকান সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস গড়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। রাজধানীর বেশ কয়েকটি পয়েন্ট থেকে অর্ধশতাধিক বাস ও মাইক্রোবাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়।
সুযোগ-সুবিধা : অপেক্ষাকৃত কম সচ্ছল ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা যাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায় সেজন্য গ্রিন ইউনিভার্সিটি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর টিউশন ফি মওকুফের সুবিধা দিয়ে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, উপজাতি, ছাত্রী এবং জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের বিশেষ সুবিধায় লেখাপড়ার সুযোগ দিচ্ছে। ভর্তির পর পরীক্ষার ফলাফলের ওপর বৃত্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
বৈষম্য ঘোচানোই সত্যিকার মানবিক অর্জন