রোমাঞ্চকর ম্যাচে টাইব্রেকারে আর্সেনালকে হারাল ১০ জনের ম্যানইউ

স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৭
শেয়ার :
রোমাঞ্চকর ম্যাচে টাইব্রেকারে আর্সেনালকে হারাল ১০ জনের ম্যানইউ

আর্সেনালের আক্রমণে সামলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে গোলের দেখা পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিছুক্ষণ পরেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় দলটি। এরপর হজম করে একটি গোল। কিন্তু প্রতিপক্ষের প্রবল চাপ সামলে লড়াই টাইব্রেকোরে টেনে নেয় ম্যানইউ। আর স্নায়ুচাপের সেই পরীক্ষায় জিতে এফএ কাপের শেষ ষোলোয় উঠল হুবেন আমুরিমের শিষ্যরা।

রবিবার এমিরেটস সেটডিয়ামে আসরের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ১-১ ড্রয়ের পর, টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। ব্রুনো ফের্নান্দেস ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেওয়ার পর, সমতা টানেন গাব্রিয়েল মাগালিয়াইস। এরপর ইউনাইটেডের নায়ক হয়ে আবির্ভুত হন আলতাই বায়িনদির। নির্ধারিত সময়ে মার্টিন ওডেগোরের পেনাল্টি শট ঠেকানোর পর, টাইব্রেকারেও একটি শট ঠেকান এই তুর্কি গোলরক্ষক।

পেনাল্টি শুটআউটে ইউনাইটেড পাঁচ শটের সবগুলোই জালে পাঠায়। আর্সেনাল সফল হয় তিনটিতে; কাই হাভার্টজের দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন বায়িনদির।

এদিন প্রথমার্ধেই বড় একটা ধাক্কা খায় আর্সেনাল। ৩৮তম মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের ঠিক বাইরে প্রতিপক্ষের ফের্নান্দেসকে পেছন থেকে ট্যাকল করতে গিয়ে নিজেই চোট পান জেসুস। প্রাথমিক চিকিৎসার পর স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয় তাকে। তার জায়গায় বদলি নামেন ইংলিশ মিডফিল্ডার রাহিম স্টার্লিং।

খেলার ৫২তম মিনিটে চমৎকার গোলে ডেডলক ভাঙেন ফের্নান্দেস। বক্সে ডান দিক থেকে আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাস ধরে ডান পায়ের জোরাল শটে দলকে এগিয়ে নেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। যদিও এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি ইউনাইটেডের। গোলের আগে ও পরে ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুটি হলুদ কার্ড দেখেন দালোত। ৬১তম মিনিটে মাঝমাঠে মিকেল মেরিনোকে ফাউল করে দ্বিতীয় কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এই পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।

মিনিট খানেকের মধ্যে সমতায় ফেরে আর্সেনাল। বক্সে ইউনাইটেডের গোলরক্ষক ও রক্ষণের খেলোয়াড়রা বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে, পোস্টকে পেছনে রেখে দারুণ এক শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মাগালিয়াইস।

এরপর মিনিট দশেকের মধ্যেই ওই সুবর্ণ সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। বক্সে কাই হাভার্টজকে ইউনাইটেড ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু ওডেগোরের স্পট কিক ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক বায়িনদির।