চা শিল্পেও ভাগ বসিয়েছে শেখ পরিবার
সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক, জাতীয় নাগরিক কমিটি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চা শ্রমিক সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার চোখ শুধু ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। দেশের অন্য কোথাও তার চোখ পড়েনি। চা শিল্পেও শেখ পরিবার ভাগ বসিয়েছে। গতকাল বিকাল ৪টায় কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের কুরমা চা বাগান মাঠে আয়োজিত চা শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, চা বাগানে কোনো মদের পাট্টা থাকা উচিত নয়, সেগুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে চা শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
চা শ্রমিক আপন বোনার্জী রুদ্র ও ভিম্পল সিংহ ভোলার যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, কেন্দ্রীয় সংগঠক প্রীতম দাশ, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জ্যানি, আসাদুল্লাহ গালিব ও কুরমা চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক ইউসুফ খাঁন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চা শ্রমিক কন্যা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খাইরুন আক্তার, স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, কুরমা চা বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নারদ পাশী, চা শ্রমিক নারী নেত্রী গীতা কানু, বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাজমিন সুলতানা প্রমুখ।
এদিকে গত শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৭টায় ময়মনসিংহ নগরীর তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে শাপলা চত্বরে শহীদ সিরাজের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত আস-সিরাজ সংগঠনের আয়োজনে ‘২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে ও ২০২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ, জুলাই বিপ্লবোত্তর আকাক্সক্ষা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ আলোচকের বক্তব্য দেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, দেশ এখনও ফাসিবাদের দোসরমুক্ত হয়নি। দেশের অনেক রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দোসরদের মদদ দিচ্ছে। আমরা সংস্কারের কথা বলছি, কিন্তু যারা এমনটি করছে তাদের বিরুদ্ধে কেন কথা বলছি না। তাদের বিরুদ্ধে কথা না বলতে পারলে অভ্যুত্থানের কোনো সফলতা আসবে না। আজকে চাঁদাবাজি হচ্ছে, সিন্ডিকেট হচ্ছে, কারা করছে, তাদের কথা কেন আমরা বলতে পারছি না। প্রত্যেকটা বাজারে চাঁদাবাজির জন্য পণ্যের দাম বাড়ছে। এতে সরকারকে দোষারোপ করে কোনো লাভ নেই।
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেমিনারে আস-সিরাজ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুফতি মুহিববুল্লাহর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য লুৎফর রহমান, বাকৃবির ভিসি প্রফেসর ড. ফজলুল হক ভূইয়া, জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আতিক মুজাহিদ, আশরাফ মাহাদী, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা লুৎফর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মুফতি মাহাবুল্লাহ, গণতান্ত্রিক সমমনা জোটের প্রধান সমন্বয়ক সাইদুর রহমান, ডা. মাওলানা আব্দুল বারী, অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি চৌধুরী নাসির আহাম্মদ প্রমুখ।
এর আগে ১৫টি শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের অর্থ বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে অতিথিদের বক্তব্য শেষে জাগরণী সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই সেমিনার। এতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।