বিফলে থিকসানার হ্যাটট্রিক, সিরিজ নিউজিল্যান্ডের
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন শ্রীলংকার স্পিনার মহেশ থিকসানা। তবে তার এমন কীর্তির দিনে দারুণ বোলিং ও ব্যাটিং করেছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। ব্যাটে রাচিন রবীন্দ্র ও মার্ক চাপম্যানের পর বল হাতে সফল উইল ও’রোর্ক-জ্যাকব ডাফিরা। তাতে ১১৩ রানের বড় জয় দেখল ব্লাক ক্যাপসরা।
হ্যামিল্টনে এই জয়ের ফলে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজও জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানের জয় পেয়েছিল কিউইরা। এবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করল স্বাগতিকরা।
আজ বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় এই ম্যাচ নেমে আসে ৩৭ ওভারে। তাতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে লড়াকু এই পুঁজি এনে দেওয়ার কারিগর রাচিন ১ ছক্কা ও ৯ চারে ৭৯ রান করেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনিই। ২ ছক্কা ও ৫ চারে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬২ রান আসে চাপম্যানের ব্যাটে।
ইনিংসের ৩৫তম ওভারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে মিচেল স্যান্টনার ও নাথান স্মিথকে ফেরানোর পর ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে ম্যান হেনরিকে আউট করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন থিকশানা। শ্রীলংকার সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে হ্যাটট্রিক করলেন এই রহস্য স্পিনার। লংকানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ বার হ্যাটট্রিক করেছেন কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। দুইবার এই কীর্তি গড়েছেন চামিন্দা ভাস। ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়ন দলটির হয়ে সবশেষ হ্যাটট্রিক করেন দিলশান মাদুশঙ্কা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে কীর্তিটি গড়েন তিনি।
---বিফলে থিকসানার হ্যাটট্রিক। ছবি: সংগৃহীত
২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা শ্রীলংকার হয়ে এক কামিন্দু মেন্ডিস ছাড়া কেউই তেমন প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ২২ রানের মধ্যেই প্রথম ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। শুরুর এই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি সফরকারীরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় ১৪২ রানে।
কামিন্দুর ব্যাটে ৬৬ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কায় আসে ৬৪ রান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে জানিথ লিয়ানাগের ব্যাটে। কিউইদের হয়ে ও’রোর্ক ৩১ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন। আর ৩০ রান খরচায় ২ শিকার জ্যাকব ডাফির।
