ইসমাতের রেকর্ড সেঞ্চুরির পর রশিদ ভেলকি, সব হারানোর পথে জিম্বাবুয়ে
প্রথম ইনিংসে আফগানিস্তানকে ১৫৭ রান করে অলআউট করে জিম্বাবুয়ে থামে ২৪৩ রানে। বুলাওয়েতে ৪৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৬ রানেই আফগানদের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিল রোডেশিয়ানরা। তবে এরপর রহমত শাহ ও ইসমাত আলমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৬৩ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে আফগানরা। তাতে স্বাগতিকদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৮ রানের। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২০৫ রানেই ৮ উইকেট খুইয়ে হারের মুখে জিম্বাবুয়ে।
তিন সংস্করণের পূর্ণ সিরিজে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর বাকি দুই টি-টোয়েন্টি জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেয় আফগানিস্তান। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হওয়ার পর শেষ দুইটি জিতে সিরিজ আবারও আফগানিস্তানের ঘরে যায়। টেস্টে প্রথম ম্যাচটি রানবন্যায় ভেসে ড্র হয়। দ্বিতীয় টেস্টটি জিতে দীর্ঘ সংস্করণের সিরিজটি পকেটে ভরার সুযোগ ছিল স্বাগতিকদের সামনে। তবে ইশমাতদের ব্যাটিং ও রশিদ খানের বোলিং ভেলকিতে এই সিরিজও হারানোর পথে জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয় ইনিংসে রহমত সেঞ্চুরি করেছিলেন আগেই। গতকাল রবিবার আট নম্বরে নেমে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নিলেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ইশমাতও। আফগান ব্যাটার হিসেবে অভিষেক টেস্টে নামা কোনো ব্যাটারের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। অথচ এই টেস্টের প্রথম ইনিংসে নেমেই শূন্য রানে আউট হন ইশমাত। অভিষেক টেস্টে একই সঙ্গে শূন্য ও সেঞ্চুরির বিপরীতধর্মী স্বাদ পাওয়া মাত্র পঞ্চম ক্রিকেটার এখন তিনি। ৯ চারে ইশমাতের ব্যাট থেকে আসে ১৮১ বলে করেন ১০১ রান। রহমতের পর তার এই দুর্দান্ত ইনিংসে চাপা পড়ে গেছে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের পাঁচ উইকেটের স্বাদ পাওয়া ব্লেসিং মুজারাবানির পারফরম্যান্স। ৯৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে তিনিই লক্ষ্য তিন শ ছুঁতে দেননি।
২৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা জিম্বাবুয়ের চতুর্থ দিন শেষে রান ৮ উইকেটে ২০৫। অর্থাৎ এখনো ৭৩ রানে পিছিয়ে তারা। স্বাগতিকদের আশা হয়ে অবশ্য ক্রিজে টিকে আছেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৯৭ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত তিনি।
জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে ধ্বংসযজ্ঞ বইয়ে দিয়েছেন লেগ স্পিনার রশিদ খান। ৬৬ রানের বিনিময়ে এরই মধ্যে ৬ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে এরই মধ্যে পাঁচবার পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। জিম্বাবুয়ের প্রথম চার ব্যাটসম্যানের সবাই ভালো শুরু পান; কিন্তু কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। রশিদ ছাড়া বাকি ২ উইকেট নিয়েছেন জিয়া-উর-রহমান।