আউট হয়ে টয়লেটে বসে ছিলেন বাভুমা, গল্প শোনালেন নিজেই
সেঞ্চুরিয়নে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪৮ রানের ছোট লক্ষ্যে এক পর্যায়ে ৯৯ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান কাগিসো রাবাদা ও মার্কো জেনসেন। এর ফলে দলটি পৌঁছে যায় ২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের ফাইনালে।
রাবাদা-জেনসেন শেষের নায়ক হলেও মাঝের দিকে প্রোটিয়াদের ব্যাটিং টেনে নেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ৪ উইকেট হারানো দলকে এক পর্যায়ে ৯৬ রান পর্যন্ত নিয়ে যান নিজের দারুণ প্রচেষ্টায়। তবে এরপরই মোহাম্মদ আব্বাসের আঘাতে শেষ হয় বাভুমার (৪০) শক্ত ইনিংস। তারপর হঠাৎ এক ঝড়ে এক শ’র আগে আরও ৩ জনকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে পরাজয়ের মুখে পড়ে তারা। এরপরই বীরত্ব দেখান রাবাদা-জেনসেন। আউট হয়ে হতাশায় কী করেছিলেন বাভুমা, সেই গল্পই জানালেন ম্যাচ জয়ের পর।
বাভুমা বলেন, ‘আমার জন্য এটা আবেগময় মুহূর্ত। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য দারুণ বিজ্ঞাপন। আমাদের দলের জন্য আনন্দ, সুখ ও চরম উত্তেজনাকর এক যাত্রা। ফলাফল আমাদের পক্ষে আসায় খুশি। (মধ্যাহ্ন বিরতির সময়) খুব বেশি কথা হয়নি, আমি তখনো টয়লেটে বসে উত্তেজনায় কাঁপছিলাম। এইডেন (মার্করাম) অন্যদের ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করছিল। আমি শুধু বলতে চাই, এটা করার (জয়ের বন্দরে ভেড়ার) আত্মবিশ্বাস তখনও ছিল। আমি বেরিয়ে আসি (টয়লেট থেকে) যখন ১৫ রান দরকার ছিল। তবে পুরোপুরি প্রকাশ্যে তখনো আসিনি। এটি একটি কঠিন ছিল (আবেগগতভাবে)।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছানো প্রসঙ্গে প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘এটা অনেক বড় ব্যাপার। শুধু নিজের জন্য নয়, দল ও কোচের জন্যও। আমরা যেভাবে তুলনামূলকভাবে কম শক্তির দল নিয়ে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যাত্রা শুরু করেছিলাম এবং তারপর যেভাবে পারফরম্যান্সের মাধ্যমে এগিয়েছি...অনেকেই আমাদের ওপর আস্থা রাখেনি। আমরা অনেককিছু অতিক্রম করে এসেছি। আমরা দাপটের সঙ্গে হয়তো খেলতে পারিনি কিন্তু ফলাফল পক্ষে আনার একটা উপায় বের করেছি।’