নীতীশের সেঞ্চুরিতে কাঁদার পর যা বললেন বাবা

স্পোর্টস ডেস্ক
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৪
শেয়ার :
নীতীশের সেঞ্চুরিতে কাঁদার পর যা বললেন বাবা

সেঞ্চুরি করার আগে বেশ সময় নিচ্ছিলেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। তবে ওয়াশিংটন সুন্দরের সঙ্গে জমে যাওয়া জুটির কারণে নীতীশের সেঞ্চুরি সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে হচ্ছিল। তবে বিপত্তিটা বাধে ১১২তম ওভারের শেষ বলে সুন্দরের আউটে। সেঞ্চুরি থেকে তখনও ৩ রান দূরে নীতিশ। স্ট্রাইক নিজের কাছে রেখে বুমরাহকে কোনো বল খেলাতে চাইছিলেন না তিনি।

১১৩তম ওভারের শেষ বলে নীতীশ সিঙ্গেল নিতে চাইলেও বুমরাহর কারণে দুই রান নিতে হয় তাকে। পৌঁছে যান ৯৯ রানে। তবে স্ট্রাইকে গিয়েই বিপত্তিটা বাধান বুমরাহ। প্যাট কামিন্সের করা ১১৪তম ওভারের তৃতীয় বলেই স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বসেন তিনি। নীতীশের হাতে তখন আর কিছু নেই। ৩ বল মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে শেষ ব্যাটার মোহাম্মদ সিরাজকে। সেই পরীক্ষায় সফল এই পেসার। পরবর্তী ওভারে স্ট্রাইক পেয়েই তৃতীয় বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ করে সেঞ্চুরি আদায় করে নেন নীতীশ। 

মাঠে নীতীশের সেঞ্চুরি করা নিয়ে যখন এমন টানটান উত্তেজনা তখন উত্তেজনা দেখা গেছে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের গ্যালারিতেও। টিভি ক্যামেরা বারবার দেখাচ্ছিল নীতীশের বাবা মুতিয়ালা রেড্ডিকে। সেঞ্চুরির আগে তার আশঙ্কায় ভরা মুখ ও প্রার্থনা দেখেছে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব। সেঞ্চুরির পর তো কেঁদেই ফেললেন ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের এই মধ্যবয়সী ভদ্রলোক। 

মুতিয়ালার সেই উত্তেজনা নজর এড়ায়নি ধারাভাষ্যের দায়িত্বে থাকা অ্যাডাম গিলক্রিস্ট আর মাইকেল ভনেরও। আলোকস্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ হতেই বুম হাতে এই দুজন ছুটে যান মুতিয়ালা যেখানে দাঁড়িয়ে ছেলের সেঞ্চুরির উদযাপন দেখছিলেন সেখানে। ইংরেজি খুব ভালো বলতে পারেন না মুতিয়াল্লা। তারপরও গিলক্রিস্টের প্রশ্নের জবাবে কিছুটা বলার চেষ্টা করেছেন তিনি। 

মুতিয়ালা বলেছেন, ‘আমার পরিবারের জন্য এটা একটি বিশেষ দিন, এই দিনটি আমরা কখনো ভুলতে পারবো না। ১৪-১৫ বছর থেকেই ভালো খেলে আসছিল ও এবং বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এটি বিশেষ এক অনুভূতি।’

নীতীশের সেঞ্চুরিতে মুতিয়ালা কৃতিত্ব দিয়েছেন আরেক প্রান্তে থাকা মোহাম্মদ সিরাজকেও। তার ভাষায়, ‘আমি খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। শুধু শেষ উইকেট ছিল। যাক ভালো যে সিরাজ টিকে ছিল।’