জামিনে কারামুক্ত পি কে হালদার
জামিনে কারামুক্ত হলেন বাংলাদেশের আলোচিত ঋণখেলাপি প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার। আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার আলিপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
কারাগার থেকে বের হয়ে পি কে হালদার বলেন, ‘আমি এখন কিছু বলব না। আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে সবকিছু জানাব।’
এরপর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সাদা প্রাইভেটকারে উঠে চলে যান পি কে হালদার।
আরও পড়ুন:
‘হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না’
এর আগে, গত শুক্রবার পি কে হালদারের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতার নগরদায়রা আদালত। শর্ত সাপেক্ষে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেন আদালত। সোমবার আদালতে সেই বন্ড জমা পড়ে। এরপর আদালত থেকে সেই কপি প্রেসিডেন্সি কারাগারে যাওয়ার পর আজ কারামুক্ত হলেন তিনি।
পি কে হালদারের সঙ্গে ওই দিন জামিন পান তার অন্য দুই সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মিত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি উত্তম মিত্র। তবে নথি ও বন্ড সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় স্বপন মিত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এর আগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের বিষয়ে ২০১৯ সালে অনুসন্ধান শুরু করে বাংলাদেশেরন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে তখন শোনা যায়। তিনি কানাডায় পালিয়ে গেছেন, এমন খবরই বেশি শোনা যাচ্ছিল।
এরই মধ্যে ২০২২ সালের ১৩ মে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের অবৈধ সম্পদের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গে অভিযানে নেমেছে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পরদিন তার গ্রেপ্তারের খবর জানা যায়। সেই থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গের কারাগারে ছিলেন।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে বাংলাদেশে ৩৪টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গত বছরের ৮ অক্টোবর তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।