ঢাকা মহানগরের জয়যাত্রা থামিয়ে ফাইনালে রংপুর
গ্রুপপর্বে ৭টি ম্যাচের সবকয়টি জিতে শীর্ষে থেকেই কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছিল ঢাকা মহানগর। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এসে হোচট খেল নাঈম শেখের দল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে মহানগরকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দল রংপুর বিভাগ।
যদিও রংপুরের কাছে হেরেও ফাইনালের আশা শেষ হয়নি ঢাকা মহনগরের। আগামীকাল রবিবার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা বিভাগের (এলিমিনেটর ম্যাচে চট্টগ্রামকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে তারা) বিপক্ষে জিতলেই ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে নাঈম-আবু হায়দার রনিদের।
আজ লো স্কোরিং ম্যাচে মহানগরকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। প্রথমে ব্যাট করে পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রানের বেশি করতে পারেনি মহানগর। ছোট এই লক্ষ্যেও কষ্ট করে জিততে হয়েছে রংপুরকে। শেষমেশ তানবীর হায়দারের অপরাজিত ২২ রানের ওপর ভর করে ৪ উইকেটের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি।
প্রথমে ব্যাট করে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা। নিচু ও মন্থর উইকেটে ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরান বোলাররা। টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় পঞ্চাশের আগেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন অধিনায়ক নাঈম, সাদমান ইসলাম ও শামসুর রহমান। দলের হয়ে একমাত্র ত্রিশ রান আসে ইমরানউজ্জামানের ব্যাটে। যদিও সেটি করতে ৪২ বল খরচ করেন তিনি।
সপ্তম উইকেটে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে আবু হায়দারের ২০ বলে ৩৪ রানের জুটিতে এক শ রান পার করে মহানগর। ২৪ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন আমিনুল। ৮ বলে ১৬ রান করেন আবু হায়দার। তাতে ১০৭ রানে থামে ঢাকা মহানগর। ১৯ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে রংপুরের সফলতম বোলার রবিউল হক। শেষ ম্যাচসেরাও হন এই পেসার।
রান তাড়া করতে নেমে রংপুরকে চেপে ধরেন মহানগরের বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে দলটি করে মাত্র ২৮ রান। দলীয় পঞ্চাশের মধ্যেই ফেরেন চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আকবর আলি। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাঈম ইসলামও। শেষের দিকে আরিফুল ইসলাম ও তানবীর হায়দারের ৩১ বলে ৩১ রানের জুটিতে জয়ের কাছে পৌঁছে যায় রংপুর। আরিফুল ২২ রানে ফিরলেও ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তানবীর।