দোহা ফোরামে ঢাবি শিক্ষার্থী সাজিদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির কৃতী বিতার্কিক সাজিদ মাহমুদ। তিনি জুলাই অভ্যুত্থানের একজন কো-অর্ডিনেটর। জুলাই বিপ্লবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের একজন সচেতন ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে সাজিদ লক্ষাধিক বাংলাদেশির সঙ্গে এ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যোগদান করেন।
সম্প্রতি তিনি কাতারের ‘দোহা ফোরাম ২০২৪’-এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেখানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভিডিও বার্তায় আলোচনায় অংশ নেন। দোহা ফোরাম একটি বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিশ্বনেতা, নীতিনির্ধারক ও বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করতে একত্র হন। আয়োজনটি ডিসেম্বরের ৬ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হয়। ৭ ও ৮ তারিখে মূল আয়োজনের উদ্বোধনী এবং সমাপনী অনুষ্ঠানসহ সর্বমোট ৫৮টি প্যানেল ডিসকাশন, নিউজমেকার ইন্টারভিউ এবং ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। এবারের থিম হচ্ছেÑ ‘নবচিন্তার অপরিহার্যতা’। উদ্ভাবনের শক্তি ও নীতিগুলো বৈশ্বিক সমস্যার সমাধানে কীভাবে প্রয়োগ করা যায়, তা নির্ধারণের প্ল্যাটফর্ম এই দোহা ফোরাম। সাজিদ বলেন, ‘জাগরণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে কাতারে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এটা বাংলাদেশি অরিজিন ব্রিটিশ কিছু সিটিজেনদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যারা ডেমোক্রেসি নিয়ে কাজ করে। দোহা ফোরামের একটা প্যানেলে আলোচনা করার জন্য বাংলাদেশি একজন শিক্ষার্থীকে তারা খুঁজছিলেন যে জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনে সরাসরি জড়িত ছিলেন। তারা সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমি জুলাই বিপ্লবের আন্দোলনে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে লেখালেখির কারণে হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই আমার নাম উল্লেখ করেন। আমার প্যানেল ডিসকাশনে স্পিকার হিসেবে কথা বলার সুযোগ হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
বৈষম্য ঘোচানোই সত্যিকার মানবিক অর্জন
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করার পর থেকেই বৈশ্বিক শান্তি ও সংঘাত, কূটনীতি, আলোচনা ও দক্ষিণ এশীয় রাজনৈতিক গতিশীলতা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় একাধিক প্রবন্ধ লিখেছি। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন অধ্যাপকের গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করেছি।’
আরও পড়ুন:
ইবিতে শীতের আগমনী বার্তা