ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে দুই শ’র আগেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ
টানা দ্বিতীয়বারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ভারতের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। তবে ফাইনালের মঞ্চে এই লড়াইয়ের প্রথম ভাগটা খুব একটা সুখকর হলো না যুবা টাইগারদের। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দুইশ রানও করতে পারল না আজিজুল হক তামিমের দল। নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৫ বল বাকি থাকতে অলআউট হয়েছে ১৯৮ রানে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেম সময় বেলা ১১টায় শুরু হয় শিরোপা নির্ধারিত ম্যাচটি। এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক মোহাম্মদ আমান। শুরুতে দুই টাইগার ওপেনার উইকেট দিয়ে না আসার দৃঢ়তা দেখালেও সেটি বেশিক্ষণ ধরে রাখা যায়নি। দলীয় সপ্তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন কালাম সিদ্দিকী, দলের রান তখন ১৭।
প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ওই ১ উইকেট হারিয়েই ৪১ রান তোলে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরের বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ, ফেরেন আরেক ওপেনার জাওয়াদ আবরার (৩৫ বলে ২০)। দলীয় ৬৬ রানে টুর্নামেন্টজুড়ে ফর্মে থাকা অধিনায়ক তামিমকে (২৮ বলে ১৬) হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন মোহাম্মদ শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন। চতুর্থ উইকেটে তারা যোগ করেন ৬২ রান।
দলীয় ১২৮ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে জেমস (৬৭ বলে ৪০) ফেরার পর বাংলাদেশের ইনিংসে ধস নামে। ১৬৭ রানের মধ্যে আট ব্যাটার হারায় বাংলাদেশ। এর মধ্যেই আউট হন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করা রিজান। বাংলাদেশকে দুই শ’র দেড়গোড়ায় নিয়ে যায় ফরিদ হাসান ও মারুফ মৃধার নবম উইকেট জুটি। দলের সঙ্গে এই সময়ে ৩০ রান যোগ করেন তারা। নবম ব্যাটার হিসেবে ফরিদ (৪৯ বলে ৩৯) দলীয় ১৯৭ রানে বিদায় নেন। আর ১ রান যোগ হতে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ইকবাল হোসাইন ইমন। ১৯ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন মারুফ।
যুব এশিয়া কাপ শুরু হয়েছে ১৯৮৯ সাল থেকে। বাংলাদেশ প্রথমবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছিল ২০১৯ সালে। সেবার শ্রীলংকার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে তারা ভারতের কাছে ৫ রানে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল। এরপর ২০২৩ আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপের শিরোপা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। অন্যদিকে যুব এশিয়া কাপের সবচেয়ে সফল দল ভারত। আগের ১০ আসরের মধ্যে ৭ বার চ্যাম্পিয়ন ও একবার পাকিস্তানের সঙ্গে শিরোপা ভাগাভাগি করেছে তারা।