তালেবানের ‘মারাত্মক অন্যায়’ সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ নবি-রশিদদের

স্পোর্টস ডেস্ক
০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:৪৫
শেয়ার :
তালেবানের ‘মারাত্মক অন্যায়’ সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ নবি-রশিদদের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা প্রত্যাহার করার পর ২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। ক্ষমতায় বসেই নারী শিক্ষার ওপর একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করতে থাকে তারা। আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা। সীমিত আকারে শুধু চলছিল নারীদের মেডিকেল শিক্ষা। এবার তালেবান হাত দিল সেখানেও। 

আফগান নারীদের ‘নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইভস’ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। এই সিদ্ধান্তকে মারাত্মক অন্যায় উল্লেখ করে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটার রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবি। 

সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সবার আগে প্রতিবাদ জানিয়েছেন লেগ স্পিনার রশিদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে আফগান নারীদের জন্য শুধু মেডিকেল শিক্ষাই নয়, সব শিক্ষার সব দুয়ার খুলে দিয়ে জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।

রশিদ বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের মা-বোনেদের জন্য মেডিকেল শিক্ষার দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি হতাশ। এই সিদ্ধান্ত মহিলাদের পাশাপাশি সমাজের বৃহত্তর কাঠামোকে প্রভাবিত করবে। ইসলামে নারী এবং পুরুষ সকলের শিক্ষায় সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের দেশ এই মুহূর্তে এক জটিল সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। প্রতিটি ক্ষেত্রে পেশাদারদের প্রয়োজন। বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে মহিলা চিকিৎসক এবং নার্সের ঘাটতি বিশেষ উদ্বেগের। এটা সরাসরি মহিলাদের স্বাস্থ্য পরিসেবাকে প্রভাবিত করতে পারে। মহিলাদের সবচেয়ে ভালো মহিলারাই বোঝেন। মা-বোনেদের চিকিৎসার জন্য মহিলাদের মেডিকেল শিক্ষা বিশেষ প্রয়োজন।’

তালেবানের কাছে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে বিশ্বসেরা এই স্পিনার বলেছেন, ‘আফগান মেয়েরা যাতে শিক্ষার অধিকার ফিরে পায় এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এটা শুধু আমাদের দায়িত্ব নয়, নৈতিক কর্তব্যও।’

রশিদের পর প্রতিবাদ জানিয়ে নবি বলেছেন, ‘নারীদের চিকিৎসা শিক্ষা নিষিদ্ধ করার তালেবানদের সিদ্ধান্ত শুধু হৃদয় ভাঙার মতোই নয়, বরং মারাত্মক অন্যায়ও। ইসলামে সবসময়ই সবার জন্য শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’

তালেবানের প্রতি নবির আহ্বান, ‘আমি তালেবানদের প্রতি তাগিদ জানাব এই ব্যাপারগুলো উপলব্ধি করতে। নারীদের শেখার সুযোগ না দেওয়া ও দেশকে সেবা করার সুযোগ না দেওয়া মানে তাদের স্বপ্ন ও জাতির ভবিষ্যতের সঙ্গে প্রতারণা করা। আমাদের মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ দিন, সমৃদ্ধ হতে দিন এবং সবার জন্য আরও সমৃদ্ধ আফগানিস্তান গড়ে তুলুন। এটা তাদের অধিকার এবং আমাদের দায়িত্ব এটা রক্ষা করা।’