চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল হাসিনা সরকারের কাঠামো
দুর্নীতি হয়েছে ২৮ উপায়ে
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত ১৫ বছরে দেশের পুরো কাঠামো ব্যবস্থা চোরতন্ত্রে পরিণত করা হয়েছিল। এ সময়ে ২৮ উপায়ে দুর্নীতি হয়েছে। অন্যদিকে ১৫ বছরে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২৮ লাখ কোটি টাকা) অবৈধভাবে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ। পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত ঋণ প্রদানের অনুশীলন ব্যাংকিং খাতের সংকটকে গভীরতর করেছে, যার পরিণামে এখন ১০টি ব্যাংক দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শ্বেতপত্রে। গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে এ কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত ২৮ আগস্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। ১৮টি বৈঠক, ২১টি পলিসি কনসালটেশন, ১৫টি কারিগরি কমিটির বৈঠক এবং তিনটি গণশুনানির আয়োজন করে এ কমিটি।
কমিটি গঠনের তিন মাসের মাথায় গত রবিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রায় ৪০০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্র তুলে দেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অতিরঞ্জিত তথ্যের ভিত্তিতে একটা উন্নয়ন আখ্যান তৈরি করা হয়, যার আড়ালে দুর্নীতি, অর্থপাচার ও স্বল্পসংখ্যক মানুষের হাতে অধিক পরিমাণ সম্পদ কুক্ষিগত হয়েছে।
সব মিলিয়ে এখন দেশের ১০ শতাংশ মানুষ ৮৫ শতাংশ সম্পদ ভোগ করছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্বেতপত্র কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয়।
কারা এসব দুর্নীতি করেছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, আমাদের কাজ চোর ধরা নয়, চুরির বর্ণনা দেওয়া। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নয়, বরং চুরির প্রক্রিয়া খুঁজে বের করা। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কারও কিছু বলার থাকলে দুদক বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটে যাওয়াই শ্রেয়।
শ্বেতপত্রে হাসিনা সরকারের শাসনামলে সীমাহীন দুর্নীতি, পাচার কিংবা লুটপাটের তথ্য-উপাত্ত দেওয়া হলেও কমিটি বলছে তাদের হাতে এর কোনো প্রমাণ নেই। তবে তাদের ধারণা, যেসব খাতে বেশি দুর্নীতি হয়েছে তার মধ্যে শীর্ষে থাকবে ব্যাংকিং, অবকাঠামো, জ্বালানি এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শ্বেতপত্র প্রণয়নের জন্য কমিটি কোনো ভাতা নেয়নি, এমনকি বৈঠক বাবদ সম্মানীও নেয়নি। প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনার আলোকে কমিটির সদস্যদের নিজেই নির্বাচিত করেছেন ড. দেবপ্রিয়। কমিটি মনে করছে, চলতি হিসাব অনুযায়ী এ ধরনের একটি গবেষণাকাজে ২৫ কোটি টাকা খরচ হতে পারত। প্রথাগত গবেষণা পদ্ধতির বাইরে গিয়ে এ গবেষণা করা হয়। গবেষকরা নিজস্ব অর্জিত জ্ঞান এখানে ব্যবহার করেছেন। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও পরামর্শ করেছেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, গত ১৫ বছরে চামচা পুঁজিবাদ থেকে চোরতন্ত্রে পরিণত হয়েছিল পুরো কাঠামো। এর উৎস ২০১৮ সালের নির্বাচন। পরবর্তী সময়ে যে ভোট হয়েছে, সেখানে স্বচ্ছতার জায়গা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারের জবাবদিহিতা নষ্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান বলেন, গত ১৫ বছরে দুর্নীতি বা অনিয়মের পেছনে রয়েছে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং উর্দিপরা ও উর্দিছাড়া আমলা গোষ্ঠী। বিগত তিনটি নির্বাচন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সরকার ও সামাজিক শক্তি দুর্বল করে দেওয়া হয়েছে। নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম, এমনকি বিদেশিরাও এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। বিদেশিরা অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় প্রশংসা করে সরকারকে সুরক্ষা দিয়েছে।
সরকারের যা করা উচিত : সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার বিস্তারিত বিবরণ জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আগামী ছয় মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাজেটের আগের কী পরিকল্পনা, তা সরকারকে জনগণের সামনে দিতে হবে। অর্থনৈতিক সংস্কারে যা হবে, টাকার মান, মূল্যস্ফীতি- এমন সব বিষয়ের তথ্য জনগণের সামনে দিতে হবে। একই সঙ্গে আগামী ছয় মাসের পাশাপাশি একটা মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা প্রকাশের প্রস্তাব করেন তিনি। যাতে বিনিয়োগকারীরা অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ন্যূনতম দুই বছর মেয়াদি পরিকল্পনা হওয়া উচিত। মধ্যমেয়াদি এই পরিকল্পনা দ্রুত হওয়া দরকার। বর্তমান সরকার সীমিতকালীন সরকার হলেও এর সিদ্ধান্তগুলোর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান, শিক্ষার মান, স্বাস্থ্যসেবা এসব খাতে একটি মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা সরকারকে দিতে হবে। সেটা দুই বছর মেয়াদি পরিকল্পনা হলেও হতে পারে।
শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা ও বাইরের প্রভাবশালীদের যৌথ নেতৃত্বে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়মে ব্যাংক খাতে এমন বিপর্যস্ত অবস্থা তৈরি হয়েছে। ২০১৫ থেকে ২০২৪ সালে এটি যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে, এর আগে তা দেখা যায়নি।
খেলাপি ঋণকে ব্যাংক খাতের ‘কালো গর্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করে শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতের সমস্যা যতটুকু দৃশ্যমান হচ্ছে, তার চেয়ে অন্তত তিনগুণ বেশি এখনও অদৃশ্য রয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলত ২০১০ সাল থেকে ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া শুরু করে। এ কারণে ব্যাংক খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ঋণই খারাপ বা খেলাপি হয়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংক যা দেখাচ্ছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ঋণ খারাপ হয়ে গেছে। আর্থিক প্রতিবেদনে কাগজে-কলমে ‘উইন্ডো ড্রেসিং’ করে মুনাফা দেখাচ্ছে ব্যাংক। বেসরকারি ১০টি ব্যাংক ভেতরে ভেতরে দেউলিয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গেছে। তারল্য সংকট তীব্র হওয়ায় এসব ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদি সমস্যায় পড়বে।
শ্বেতপত্রে উঠে এসেছে- খেলাপি ঋণ বারবার পুনঃতফসিল করে নিয়মিত করা, পুনর্গঠন করা, অবলোপন ও সুদ ছাড় দেওয়ায় বিতরণ করা ঋণে খেলাপির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। খারাপ ঋণের অঙ্ক গত জুন শেষে পৌনে সাত লাখ কোটি টাকায় চলে গেছে। তবে সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংক খেলাপি ঋণের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা।
আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ‘দখলদারিত্বে’ পরিণত হয়েছিল; ‘ক্রনিইজম’ ব্যবসায়িক মডেলে পরিণত হয়। ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদ ও সরকারি আমলাদের সঙ্গে মিলেমিশে অর্থব্যবস্থাকে নিজেদের মনোমতো পরিচালিত করে। ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থার কথা তুলে ধরা হলেও সুনির্দিষ্ট কেলেঙ্কারির কথা তুলে ধরা হয়নি শ্বেতপত্রে।
ব্যাংকের দুরবস্থার জন্য সরকার, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মচারী, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্ব ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, একশ্রেণির ব্যাংকার ও ব্যবসায়ীকে দায়ী করা হয়। তবে নির্দিষ্টভাবে কাউকে দায়ী করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য ড. একে এনামুল হক বলেন, দেশের উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ ব্যয় তছরুপ বা লুটপাট করা হয়েছে। এটা এককভাবে ঘটেনি। সব পক্ষ মিলে ধাপে ধাপে করেছে।
ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক মেগা প্রকল্পই হয়তো প্রয়োজনীয় ছিল। কিন্তু এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ঠিকাদারের কথা অনুযায়ী কয়েকগুণ ব্যয় বাড়িয়ে সেই টাকা পাচার করা হয়েছে। অর্থপাচারের হিসাব বের করা বেশ কঠিন। তবে আমি একটি আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অবলম্বন করে পাচারের হিসাবটা এনেছি।
শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এতদিন ভেবেছিলাম আমাদের মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ার শঙ্কা আছে, ঝুঁকি আছে। এখন আমরা বলছি, আমরা সেই ফাঁদে পড়ে গেছি। পরিসংখ্যান দিয়ে এতদিন উন্নয়ন দেখানো হয়েছে। বাস্তবে তা হয়নি। হিসাব গরমিলের কারণে মধ্যম আয়ের দেশের ফাঁদে পড়ে গেছি।
তিনি বলেন, এ দেশে জিডিপি যেভাবে হিসাব করা হয়, তাতে অতিরিক্ত দেখা যায়। কোনো খাতে মূল্য সংযোজন বাড়লে ধরা পড়ে, কিন্তু কমলে ধরা পড়ে না। তথ্য-উপাত্ত বলছে, মধ্যম আয়ের ফাঁদে পড়িনি, কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে।
জাহিদ হোসেন আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে এত টাকা পাচার হলো, কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ হলো না, কর্মসংস্থান হলো না, তা হলে এত প্রবৃদ্ধি হয় কীভাবে? নীতি সংস্কার করতে হবে। জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।
ড. ইমরান মতিন বলেন, দরিদ্রের যে উন্নতির কথা বলা হয়েছে, সেটা অর্থবহ নয়। কারণ যারা দারিদ্র্যসীমার উপরে আছে, তারা যদি দুই দিন কাজ করতে না পারে, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। টোকা দিলেই পড়ে যাবেÑ এ ধরনের একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করানো হয়েছে।
অধ্যাপক ম. তামিম বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ আইন দুর্নীতির রাজপথ উন্মুক্ত করে দিয়েছিল। সংকট মোকাবিলার জন্য প্রথমে বলা হলেও পরে ব্যাপকভাবে এর ব্যবহার হয়েছে। নিজস্ব জ্বালানি উৎপাদনের প্রচেষ্টা বাদ দিয়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির চেষ্টা করা হয়েছে। অর্থাৎ নীতি প্রণয়ন করে দুর্নীতি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
কমিটির আরেক সদস্য অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা এখন গবেষণার দাবি রাখে। অতীতেও এর বিরুদ্ধে সংস্কারের দাবি উঠেছে, বিরোধিতাও এসেছে। এখনও নানাভাবে সংস্কারবিরোধীরা সক্রিয়। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কথা চিন্তা করলে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে সংস্কার করতেই হবে।
সেলিম রায়হান বলেন, দেশে পরপর তিনটি নির্বাচন চরম ত্রুটিপূর্ণ হয়েছে। এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতির খাতগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি উত্তরণে সংস্কার জরুরি। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও অর্থনৈতিক খাতগুলো ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে অবাধ নির্বাচন দরকার। তবে তার আগে আর্থিক ও অন্যান্য খাতে যে ক্ষতি হয়েছে, তার সংস্কার জরুরি। আমরা চাই না, পুরনো দুর্নীতিবাজরা কোনোভাবে পুনর্বাসিত হোক, সে জন্য আগে সংস্কার জরুরি।
আওয়ামী লীগ আমলের দুর্নীতি গবেষণার বিষয় বলে মন্তব্য করেন সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, দুর্নীতি সব দেশেই হতে পারে। কিন্তু আমাদের প্রতিবেদনে (শ্বেতপত্র) তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে দুর্নীতির ব্যাপকতা তুলে ধরা হয়েছে। অতীতে যে ব্যাপক হারে দুর্নীতি হয়েছে, দুর্নীতির সঙ্গে যে বিপুল মানুষের সম্পৃক্ততা ও ধরন, এটা বাংলাদেশে বড় ধরনের গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবু ইউসুফ, তাসনীম সিদ্দিকী ও অধ্যাপক শারমিন্দ নীলর্মি বক্তব্য রাখেন।