বাংলাদেশের বিপক্ষে রান দেওয়ায় কৃপণতা দেখিয়ে সিলসের বিশ্বরেকর্ড
বাংলাদেশকে পেলেই যেন জ্বলে ওঠেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা। জ্যামাইকা টেস্টের প্রথম দিনে প্রথম পেসার হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫০ টেস্ট উইকেট নেওয়ার মাইলফলক অর্জন করেন ক্যারিবিয়ান পেসার কেমার রোচ। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে রান দেওয়ায় কৃপণতা দেখিয়ে বিশ্বরেকর্ড করলেন আরেক পেসার জেডন সিলস।
কিংস্টনে সিলসের প্রথম ইনিংসের বোলিং ফিগার ১৫.৫-১০-৫-৪! অর্থাৎ, ওভারপ্রতি মাত্র ০.৩১ হারে রান দিয়েছেন এই পেসার। টেস্টের কোনো ইনিংসে কমপক্ষে ১৫ ওভার করা পেসারদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে কম রান দেওয়ার ঘটনা। এর আগে রেকর্ডটি ছিল ভারতের পেসার উমেশ যাদবের। ২০১৫ সালে দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ ওভার বোলিং করে ৩ উইকেট নেওয়ার পথে ০.৪২ করে রান দিয়েছিলেন যাদব।
এছড়া ১৯৭৮ সালের পর টেস্টের কোনো ইনিংসে কমপক্ষে ১০ ওভার বোলিং করে এত কম রান দেওয়ার রেকর্ড সিলসের। এক ইনিংসে সিলসের চেয়েও ওভারপ্রতি রান কম দেওয়ার ঘটনা আছে। ১৯২৮ সালে ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভার বল করে ওভারপ্রতি মাত্র ০.৩০ হারে রান দিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ডানহাতি পেসার বব ওয়ায়েট।
টেস্টে ইনিংসে অন্তত ১০ ওভার বোলিং করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়িতার রেকর্ড ভারতের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার বাপু নাদকার্নির। ১৯৬৪ সালে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৩২ ওভারে ২৭ মেডেন নিয়ে মাত্র ৫ রান (ওভারপ্রতি ০.১৫) দিয়েছিলেন তিনি! তার পরেই আছেন গ্যারি সোবার্স (১৪-১১-৩-১), আবারও নাদকার্নি (১৪-১১-৩-০), মাজিদ খান (১০-৮-৩-০), বব ওয়ায়েট, ইংল্যান্ডের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার হেডলি ভেরিটি (১৩-১১-৪-০)। তার পরেই আছেন সিলস।
এছাড়া টেস্টে ৫ বা তার কম রান দিয়ে নূন্যতম ৪ উইকেট নেওয়া ষষ্ঠ বোলার সিলস। এর আগে, ২০১৩ সালে ৫.২ ওভারে ৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার। এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই রেকর্ডটি গড়েছিলেন ক্রেমার। তার ঠিক আগের রেকর্ডটিও বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০২ সালে টাইগারদের বিপক্ষে ৬.৫ ওভারে ৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জার্মেইন লসন।