রিশাদের দারুণ বোলিংয়ের পর সৌম্যর ফিফটি, তবুও হারল রংপুর

স্পোর্টস ডেস্ক
০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪১
শেয়ার :
রিশাদের দারুণ বোলিংয়ের পর সৌম্যর ফিফটি, তবুও হারল রংপুর

দারুণ লেগ স্পিনে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। তাতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানেই থামে ভিক্টোরিয়া। ১৫২ রানের লক্ষ্যে পরে ব্যাটিং করা রংপুর রাইডার্সের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ফিফটি হাঁকান সৌম্য সরকার। তাতে জয়ের সম্ভাবনা জাগলেও শেষ পর্যন্ত হার দেখল রংপুর। 

গ্লোবাল সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সুপার ওভারে গিয়ে হেরেছিল নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন রংপুর। এবার ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে হার দেখল ১০ রানে। ১৫২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর। 

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় পর্যন্ত রংপুরের জয়ের সম্ভাবনাই ছিল উজ্জ্বল। স্টিভেন টেইলর ও সৌম্য সরকারের ৫১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রংপুর তুলে ফেলে ৬৩ রান। অর্থাৎ, শেষ ৮৪ বলে রংপুরের দরকার ছিল মাত্র ৮৯ রান, হাতে ৯ উইকেট। ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান করতে দলটি খরচ করে মাত্র ৭০ বল। শেষ ৫০ বলে ৮ উইকেট হাতে নিয়েও ৫২ রান করতে পারেনি বাংলাদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

৬৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো দলটি তৃতীয় উইকেট হারায় দলীয় ১০১ রানের মাথায়। এরপর একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ১০৮ রানের মাথায় সৌম্য সরকারকে হারায় রংপুর। ৩৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা সৌম্য ৪২ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। আরেক ওপেনার স্টিভেন টেইলর ১৪ বলে ২৬ রান করেন। 

---হাফ সেঞ্চুরি এসেছে সৌম্যর ব্যাটে। ছবি: সংগৃহীত

শেষের দিকে কোনো ব্যাটারই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট করতে পারেননি। অধিনায়ক সোহান ১০ বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হয়েছেন। ১৫ বলে আফিফ হোসাইনে ব্যাটে এসেছে মাত্র ১০ রান। ১১ বলে ১ ছক্কায় অপরাজিত ১১ রান করে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন রিশাদ হোসেন। 

এর আগে, শুরুটা ভালো করেছিল ভিক্টোরিয়াও। উদ্বোধনী জুটিতে ব্লেক ম্যাকডোনাল্ড ও জো ক্লার্ক ৭০ রান যোগ করলেও পরে আর দলের রান তেমন আগায়নি। তিনে নামা সঞ্জয় কৃষ্ণমূর্তি করেন ৩১ রান। পাঁচে নামা স্কট এডওয়ার্ডস ১৭ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। 

রিশাদ ছাড়াও রংপুরের হয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। ৩ ওভারে ২৪ রান খরচ করেন এই স্পিনার। এছাড়া কামরুল ইসলাম রাব্বি ১৭ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট ও খুশদিল শাহ ২৯ রানের বিনিময়ে ১ উইকেট শিকার করেন।