আইপিএলে সাকিব-মোস্তাফিজদের দল না পাওয়া নিয়ে বিসিবি যা বলল
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের মেগা নিলামে বাংলাদেশের ১২ ক্রিকেটারের নাম ছিল। তবে এদের মধ্যে কাউকেই কিনতে আগ্রহ দেখায়নি আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। বেশিরভাগ ক্রিকেটারের নাম নিলামে তোলাই হয়নি। বিসিবির পরিচালক নাজমূল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, টুর্নামেন্টটিতে বাংলাদেশিদের দল না পাওয়া টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বর্তমান পারফরম্যান্সেরই প্রতিচ্ছবি।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশিদের মধ্যে বিপিএলে খেলেছেন সাকিব আল হাসান, লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমান। এর মধ্যে সাকিব ও লিটনের অফফর্মের কারণে দল না পাওয়ার সম্ভাবনা আগে থেকেই ছিল। তবে গত আইপিএলেও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা মোস্তাফিজুর রহমানের দল না পাওয়াটা অনেকটা বিস্ময় হয়েই এসেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে।
আজ বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের ফাহিম বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার দুঃখ হয়, আমি কিন্তু সরাসরিভাবেই আমাদের মানটাকে বিচার করি। পৃথিবীর মঞ্চে আমি যদি জায়গা পাই, তার মানে আমার অবস্থাটা ভালো। পৃথিবীর মঞ্চে আমি যদি জায়গা না পাই, তার মানে হচ্ছে আমার অবস্থাটা ভালো নয়।’
আইপিএলে ওপরের তিনজন ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে খেলার সুযোগ ছিল তাসকিন আহমেদের। তবে ছাড়পত্র না পাওয়ায় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলা হয়নি ডানহাতি এই পেসারের। এবারও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দল না পাওয়ার বড় কারণ অনাপত্তিপত্রের কড়াকড়ি। প্রায় দুই মাসব্যাপী এই টুর্নামেন্ট হলেও বাংলাদেশি বেশিরভাগ ক্রিকেটারকে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে দুই সপ্তাহের জন্য। জাতীয় দলের খেলা থাকায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি।
বিষয়টি নিয়ে ফাহিম বলেন, ‘জোর করে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে ঢোকাতে পারব না। যোগ্যতা থাকলে ঢুকতে পারবে। আমাদের জন্য সুযোগ ছিল, গত বছর বা তার আগের বছরও। সেটাকে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আমার মনে হয়, আমাদের চেষ্টা থাকা উচিত এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগানোর।’
আফগানিস্তানকে থেকে প্রতিবারের মতো এবারও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আইপিএল নিলামে বিক্রি হয়েছেন। ৪ কোটি রুপির ওপরে দাম উঠেছে তরুণ স্পিনার আল্লাহ গজনফরের। আফগানদের উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে বিসিবি পরিচালক ফাহিম বলেন, ‘আফগানিস্তান শুধু এই করেই কিন্তু ওদের খেলোয়াড়দের ধীরে ধীরে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। আস্তে আস্তে এই জায়গায় ওদের খেলোয়াড়ের সংখ্যা বাড়ছে, আমরা পিছিয়ে পড়েছি।’