সিরিজে সমতা আনল বাংলাদেশ
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে হেরে কঠিন চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেই চাপ হেসেখেলেই সামলে নিল টাইগাররা। গতকাল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৬৮ রানে হারিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরল টাইগাররা (১-১)। আগামীকাল সোমবার একই মাঠে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ঝলক দেখান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টাইগার দলপতি খেলেন ৭৬ রানের ঝলমলে ইনিংস। তার দারুণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১৮৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান। ফিফটির সুবাদে ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল।
রান তাড়ায় ইনিংসের শুরুর দিকটায় আশা জাগিয়েছিল আফগানরা। দুই উইকেটে দলীয় শতক পার করে তারা। ইনিংসের শুরুতে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে হারালেও সেদিকুল্লাহ অটল ও অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে নিয়ে দুটি মূল্যবান জুটি গড়েন রহমত শাহ। দুই জুটিতেই তিনি ছিলেন চালকের আসনে। সেদিকুল্লাহর সঙ্গে ৫২ ও হাসমতউল্লাহকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন রহমত।
৫১ বলে ৩৯ রানে আউট হন সেদিকুল্লাহ। ৪০ বল ১৭ রানে ফেরেন হাসমতউল্লাহ। ৭৬ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন রহমত। সাত বলের ব্যবধানে তিন উইকেট তুলে নিয়ে আফগানদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় বাংলাদেশ। ?লোয়ার মিডল অর্ডার কিছুটা লড়াই অবশ্য করেছে। কিন্তু বড় হার ঠেকাতে আফগানদের জন্য তাও যথেষ্ট ছিল না। গুলবাদিন নাইব ২৬, মোহাম্মদ নবি ১৭ ও রশিদ খান ১৪ রানে আউট হন।
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের পক্ষে তিন উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। দুটি করে শিকার মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোস্তাফিজুর রহমানের। নাসুম অবশ্য ব্যাট হাতেও আলো ছড়িয়েছেন। ইনিংসের শেষ দিকে ২৫ রান করেন তিনি। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা জাকের আলি ২৭ বলে ৩৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। এই দুজনের দৃঢ়তায় আড়াইশ ছাড়ায় বাংলাদেশ।
তবে ভালো সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। রানের দেখা পেয়েছেন টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটাররাও। প্রথম চার ব্যাটার মিলে তুলেছেন ১৫৫ রান। যদিও উদ্বোধনী জুটি থেকে এসেছে কেবল ২৮ রান। এর মধ্যে ২২ রানই করেছেন তানজিদ হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে পথ দেখান নাজমুল ও সৌম্য সরকার। দুজনই দারুণ ব্যাট করছিলেন।
পরে রশিদের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন সৌম্য। ৩৫ রানে থামতে হয় বাঁহাতি ওপেনারকে। এরপর আরও একটি জুটি গড়ে বাংলাদেশ। এবার ৫৩ রানের জুটিতে নাজমুলের সঙ্গী মিরাজ। ২২ রানে আউট হন মিরাজ। উইকেটে থিতু হওয়ার পর আউট হন নতুন ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। ১৬ বলে ১১ রান করেন তিনি। একটু পর বিদায় নেন নাজমুলও।
৭৫ বলে ফিফটি করা নাজমুল সেঞ্চুরির আভাস দিয়ে ফেরেন। ৭৬ রান করেন তিনি। ১১৯ বলের ইনিংসে ছয়টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন নাজমুল। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এলেন আর গেলেন। ধূসর হয়ে যায় বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের আশা। আশার পালে হাওয়া দেন জাকের ও মিরাজ। তাদের ৪৬ রানের ঝড়ো জুটি দলকে পৌঁছে দেয় প্রত্যাশিত সংগ্রহে।
আগের ম্যাচে ছয় উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ধসিয়ে দেওয়া গাজনফার এদিন শিকার করলেন কেবল দুটি। তার সমান শিকার রশিদ খানেরও। তবে এই ম্যাচে আফগানদের মধ্যে সবচেয়ে সফল বোলার নাঙ্গেলিয়া খারোতে। তিন উইকেট পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন