কারাগারে শমী তাপস মেনন ইনু ও পলক

জামিন নামঞ্জুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
শেয়ার :
কারাগারে শমী তাপস মেনন ইনু ও পলক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে একই আন্দোলনে ইমন হোসেন গাজী নামে এক যুবককে হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও জুনায়েদ আহমেদ পলককে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি. এম. ফারহান ইশতিয়াক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে শমী কায়সার ও কৌশিক হোসেন তাপসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর আগে গত ৬ নভেম্বর তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এ দিন রিমান্ড শেষে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত মিঠুন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে এবং ৪ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে তাপসকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামের এক ব্যবসায়ী কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪নং সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাইস্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এ সময় ইসতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখসহ মামলা করেন।

এ দিকে গতকাল শনিবার একটি হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু ও জুনায়েদ আহমেদ পলককে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মাহাবুল ইসলামের এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২ নভেম্বর তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। জানা গেছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার চিটাগাং রোডে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ইমন হোসেন গাজী নামে এক যুবক। এ ঘটনায় তার ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।