ভিনিসিউসের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের বড় জয়, তবুও দুর্ভাবনা
নিজেদের মাঠে টানা দুই ম্যাচে বার্সেলোনা ও এসি মিলানের কাছে হেরে হতাশ হতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। এই সময়ে দলের প্রাণভোমড়া ভিনিসিউস জুনিয়রের ব্যালন ডি’অর না পাওয়া নিয়েও আক্ষেপ ছিল স্প্যানিশ জায়ান্টদের। সব ক্ষোভ আজ যেন ওসাসুনার ওপরে ঝাড়ল রিয়াল। লা লিগায় আজকে ওসাসুনাকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে লস ব্লাঙ্কোসরা। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেছেন ভিনিসিউস।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এই বড় জয়ের দিনে অবশ্য দুর্ভাবনাও দেখা গেছে রিয়াল শিবিরে। চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয়েছে রিয়ালের দুই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রদ্রিগো ও এদের মিলিতাওকে।
ওসাসুনার বিরুদ্ধে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণে যায় রিয়াল। ১৪ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় স্পেনের রাজধানীর এই ক্লাবটি। রদ্রিগোর শটটি ঝাপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন ওসাসুনার গোলরক্ষক। প্রথম ১৫ মিনিটেই আটটি কর্নার পায় রিয়াল। কিছুক্ষণ পরই মাঠ ছাড়তে হয় ত্রাস ছড়ানো রদ্রিগোকে। ২০তম মিনিটে তিনি মাঠ ছাড়ার পর নামেন ব্রাহিম দিয়াস। কিছুক্ষণ পর মাঠ ছাড়তে হয় মিলিতাওকেও। ওসাসুনার এক খেলোয়াড় তাকে ফাউল করলে ব্যথা পান তিনি। পরে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নেওয়া হয় তাকে।
রিয়াল প্রথম গোল পায় ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে। বেলিংহ্যামের দুর্দান্ত পাসে বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে গোল দেন ভিনিসিউস। ক্ষাণিক বাদেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বেলিংহ্যাম। মিলিতাওয়ের বদলি হিসেবে প্রথমবারের মতো রিয়ালের সিনিয়র দলে নেমেছিলেন রাউল অ্যাসেন্সিও। ৪২তম মিনিটে তার হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া থ্রু পাস ধরে দারুণ গোল করেন বেলিংহ্যাম। ২ গোলে এগিয়ে থেকে মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় রিয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬১ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান ভিনিসিউস। ভিনিসিউসের উদ্দেশে রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন বল বাড়ান। মাঠমাঠ থেকে দারুণ ক্ষিপ্রতায় এগিয়ে গিয়ে ওসাসুনার একাধিক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দেখার মতো এক গোল দেন ভিনিসিউস। ওসাসুনার জালে রিয়াল হালি পূর্ণ করে ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে। দিয়াসের পাস থেকে গোলরক্ষককে হাটিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ভিনিসিউস। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।
এই জয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমল রিয়ালের। ১২ ম্যাচে আট জয় ও তিন ড্রয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কার্লো আনচেলত্তির দল। ৩৩ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনা।