হারিস-রিজওয়ানের রেকর্ড, অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে সমতায় পাকিস্তান
হারিস রউফের বোলিং তোপে প্রথমে ব্যাট করে ১৬৩ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেড ওভালে ছোট এই লক্ষ্য পার করতে কোনো সমস্যাই হয়নি পাকিস্তানের। ১৪১ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এল ১-১ সমতা। ২০১৭ সালে মেলবোর্নে জয়ের ৭ বছর পর আবারও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের হারাল পাকিস্তান।
ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে গুড়িয়ে দেন হারিস। ৮ ওভার বল করে মাত্র ২৯ রানের বিনিময়ে এই ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। অজিদের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেওয়া হারিস একে শিকার করেন জশ ইংলিস, মারনাশ লাবুশেন, অ্যারন হার্ডি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্সের উইকেট। ওয়ানডেতে পঞ্চমবারের মতো এই কীর্তি গড়লেন হারিস। অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ উইকেট শিকার করা নবম বোলার তিনি। সবশেষ ২০১৭ সালে এই কীর্তি গড়েন আরেক পেসার হাসান আলি।
এদিন গ্লাভস হাতে দারুণ রেকর্ড গড়েন পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। হারিস একমাত্র ম্যাক্সওয়েলকেই বোল্ড করতে পেরেছিলেন। বাকি চারটি উইকেটই উইকেটের পেছনে ক্যাচ ধরেন রিজওয়ান। এছাড়া মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে স্টিভেন স্মিথের ও নাসিম শাহর বলে মিচেল স্টার্কের ক্যাচও ধরেন তিনি। ওয়ানডেতে সপ্তদশ খেলোয়াড় হিসেবে এক ম্যাচে ছয় ডিসমিসালের রেকর্ড গড়লেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের পর তিনিই ছয় ক্যাচ ধরার কৃতিত্ব দেখালেন। পুরো বিশ্বে অধিনায়ক হিসেবে এই কীর্তি দ্বিতীয়। এতদিন অধিনায়ক হয়ে ছয় ডিসমিসালের কৃতিত্ব ছিল কেবল ইংল্যান্ডের অ্যালেক স্টুয়ার্টের।
হারিসের আগে অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ভাঙার কাজ সারেন শাহিন আফ্রিদি। দুই ওপেনার ম্যাথু শর্ট ও জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে ফেরান তিনিই। পরে নেন আরও এক উইকেট। বাকি দুই উইকেট নেন হাসনাইন ও নাসিম শাহ। অস্ট্রেলীয়দের মধ্যে এক স্টিভেন স্মিথ (৩৫) ছাড়া বিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসও খেলতে পারেননি কেউ।
১৬৪ রানের ছোট লক্ষ্যে শুরুতে দেখেশুনেই খেলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও আব্দুল্লাহ শফিক। পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রানের গতি বাড়াতে থাকেন তারা; বিশেষ করে সাইম। মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা এই ওপেনার জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও। তবে ৭১ বলে ৮২ রান করে অ্যাডাম জাম্পার বলে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। যদিও তখন পাকিস্তান জয়ের একদম কাছাকাছি। ৬৯ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন আরেক ওপেনার শফিক। ২০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। সরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে আগামী রবিবার মাঠে নামবে দুই দল।