ওয়ানডেকে বিদায় বলছেন প্রায় ৫০ দেশের বিরুদ্ধে খেলা নবী
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে মাঠে নামে আফগানিস্তান। তার পর থেকেই দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী। দীর্ঘ ১৫ বছরের পথচলায় খেলেছেন প্রায় ৫০টি দলের বিপক্ষে। অবশেষে এল বিদায়ের মুহূর্ত। আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন এই অভিজ্ঞ তারকা।
যদিও নিজের মুখে বিদায়ের ঘোষণা দেননি নবী। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চিফ এক্সিকিউটিভ নসিব খান জানান, আগেই তার কাছে নবী জানিয়ে দিয়েছিলেন খুব বেশিদিন আর ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলতে চান না তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরই এই ফরম্যাট থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত তাকেই জানিয়েছেন নবী।
ওয়ানডে থেকে বিদায় নিলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট চালিয়ে যাবেন নবী। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সবচেয়ে ছোট সংস্করণকেও বিদায় বলতে পারেন তিনি। এর আগে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে দীর্ঘতম সংস্করণ থেকে বিদায় নেন এই অলরাউন্ডার।
তবে, ফর্মের কারণে বিদায় নিচ্ছেন না নবী। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডেতেও ৮৪ রানের দুর্ধর্ষ এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। বল হাতেও রেখেছেন কার্যকরী ভূমিকা। মূলত, বয়স কম হয়নি তার। প্রায় ৪০ ছুঁইছুঁই। চ্যাম্পিয়স ট্রফির পর সেটি ৪০ ছাড়িয়ে যাবে। বর্তমানে তার ছেলেও খেলছেন ক্রিকেট।
আফগানিস্তান ক্রিকেটে নবী মহীরূহের মতো। ২০০৯ সালের পর থেকেই দলের নানা উত্থান-পতনের সাক্ষী তিনি। তবে নিজে বল ও ব্যাট হাতে ছিলেন আপন আলোয় উজ্জ্বল। খেলেছেন আইপিএলসহ বিশ্বের নামকরা সব ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে এখনো পর্যন্ত ১৬৫টি ওয়ানডে খেলেছেন নবী। যেখানে ৩ হাজার ৫৪৯ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ১৭১ উইকেট। ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ রান ও উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় দুইয়ে এই অলরাউন্ডার।