মেসিকে যে প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি শুনতে হয়
ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবকিছুই অর্জন করে ফেলেছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। অনেকবারই জানিয়েছেন, উপভোগের জন্যই বর্তমানে ফুটবল খেলছেন তিনি। তারপরও ভক্ত-সমর্থকদের ব্যাপক কৌতুহল, আর কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন তাদের প্রিয় খেলোয়াড়? ২০২৬ বিশ্বকাপে কি তিনি খেলবেন? গণমাধ্যমের মাধ্যমে এই প্রশ্ন করা হয় মেসির কাছেও। মেসিও এবার জানালেন তার কাছে সবচেয়ে বেশি জানতে চাওয়া হয় এই বিষয়টি নিয়েই।
ফুটবলে দলবদলের জন্য পরিচিত ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানোর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে মেসি বলেন, ‘(২০২৬ বিশ্বকাপে খেলব কি না) সেটি সত্যিই জানি না। আমাকে এটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন করা হয়, বিশেষ করে আর্জেন্টিনায়। আপাতত আমার চাওয়া, বছরটা সুন্দরভাবে শেষ করা। এরপর ভালো একটা প্রাক-মৌসুম কাটিয়ে নতুন বছর শুরু করা। গত বছর এটা পারিনি, কারণ অনেক সময় ছিল আমাদের।’
২০২১ সালে কোপা আমেরিকার মাধ্যমে দেশের হয়ে প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্ট জেতেন মেসি। পরের বছর কাতার বিশ্বকাপ জয় করে নিজেকে নিয়ে যান ইতিহাসের অনন্য স্থানে। সাফল্যের ধারা বজায় রেখে ২০২৩ সালেও কোপা আমেরিকা জেতে মেসির আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার পরবর্তী বড় টুর্নামেন্ট ২০২৬ বিশ্বকাপ। সেটি হতে দেড় বছরেরও বেশি সময় বাকি। সর্বজয়ী মেসির যেন বিষয়টি নিয়ে অত তাড়া নেই।
আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেন, ‘(নতুন বছর শুরু করার পর আমি) সেখান থেকে আমি দেখব, কেমন করছি এবং কেমন লাগছে। আমরা কাছাকাছি আছি, তবে পাশাপাশি এটাও সত্যি, অনেক সময় এখনও বাকি এবং ফুটবলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। আপাতত বেশি দূরে না তাকিয়ে প্রতিটি দিনে থাকতে চাই।’
শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনা ছেড়ে ২০২১ সালে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে পাড়ি জমান মেসি। সেখানে ২ বছর কাটিয়ে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে। ক্লাবটিকে নিয়েই এখন যত ভাবনা মেসির।
কাতার বিশ্বকাপের সেরা এই তারকা বলেন, ‘একটা ক্লাব গড়ে তুলতে শিরোপার প্রয়োজন পড়ে। বাজে একটা বছর (২০২৩) কাটিয়ে এসেছে এই ক্লাব এবং আমি আসার কিছুদিন পর লিগস কাপ জিতেছি আমরা, ক্লাবের প্রথম ট্রফি সেটি। আমাদের জন্য এটা ছিল অসাধারণ এবং এখন আমরা এখন মুখিয়ে আছি এই প্লেঅফ ম্য্যাচগুলি খেলতে এবং এমএলএস কাপ জিততে।’