ইনিংস ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
টেস্টে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে তাদের হোয়াইটওয়াশ করে এসেছিল বাংলাদেশ। এরপর ভারত সফরে গিয়ে তাদের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করে আসেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। তবে আশা ছিল, ঘরের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঘায়েল করে ঘুরে দাঁড়াবে টাইগাররা। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ কাটল আরও বড় হতাশায়। প্রথম টেস্টে বড় হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। তাতে টানা দ্বিতীয়বার হোয়াইটওয়াশের তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ২৭৩ রানে হেরেছে টাইগাররা। টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে মাত্র ১৫৯ রানে থামে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৪১৬ রানে পিছিয়ে থাকায় টাইগারদের ফলো অনে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলো অনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে মাত্র ১৪৩ রানেই গুটিয়ে যায় শান্তর দল।
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের বিবর্ণ অবস্থার প্রমাণ এই তথ্যেই স্পস্ট- চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানোর আগেই আউট হয়েছেন ৮ ব্যাটার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ব্যাটার। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের ৮২ রান ও তাইজুলের ৫ উইকেট ছাড়া এই টেস্টে বলার মতো পারফর্ম করতে পারেনি বাংলাদেশের আর কেউ।
টেস্ট ইতিহাসে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় জয়। এর আগেও তাদের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০১৭ সালে ব্লুমফন্টেইনে ইনিংস ও ২৫৪ রানে জিতেছিল তারা। বাংলাদেশের টেস্টি ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় পরাজয়। ২০০২ সাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংস ও ৩১০ রানে হারটিই এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বড় হার।
চট্টগ্রাম টেস্টে বলে-ব্যাটে বাংলাদেশকে সমানে শাসন করেছে। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি পেয়েছেন টনি ডি জর্জি, ত্রিস্তান স্টাবস ও উইয়ান মুল্ডার। এর মধ্যে জর্জি খেলেছেন ১৭৭ রানের ম্যারাথন ইনিংস। তাইজুল ৫ উইকেট শিকার করলেও দিয়েছেন প্রায় দুই শ রান। বল হাতে প্রোটিয়াদের হয়ে প্রথম ইনিংসে আগুন ঝড়িয়েছেন কাগিসো রাবাদা। ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে কেশব মহারাজ ও সেনুরান মুতুসামির বলে দিশেহারা হয় বাংলাদেশ। মহারাজ ৫টি ও মুতুসামি শিকার করেন ৪টি উইকেট।