সাফ ফাইনালে মুখোমুখি বাংলাদেশ-নেপাল /
গোলশূন্য সমতায় প্রথমার্ধ শেষ
টানা দ্বিতীয় নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্যে নেপালের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোনো দলই। সমতা নিয়ে বিরতিতে গেছে দুই দল। ২০২২ সালে এই নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েই প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিলেন সাবিনা খাতুন-রূপনা চাকমারা।
কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় পৌনে সাতটায় শুরু হয় ম্যাচ। একটি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। সাগরিকার বদলে ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহার জুনিয়রকে একাদশে ফেরান কোচ পিটার বাটলার। চোটের কারণে সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শুরুতেই গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় মিনিটে তহুরা খাতুনের শট পোস্টে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
নবম মিনিটে বাংলাদেশ আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করে। তবে তার পরের মিনিটেই গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় বাংলার মেয়েরা। নেপালের আমিশা কার্কির শট পোস্টে লাগলে বেঁচে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচের ২৩ মিনিটে হলুদ কার্ড হজম করে নেপাল। মনিকা চাকমাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেছেন নেপালের আম্রিতা জইশি।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শামসুন্নাহার জুনিয়রকে আঘাত করলে বক্সের ঠিক বাইরে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। তবে মারিয়া মান্দা গোলবারের বাইরে দিয়ে শট মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন। দুই মিনিট পর আরও একটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মনিকা।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ মোট ৬টি শট নেয়। যার ২টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, ৩টি শট করে ২টিই লক্ষ্যে রাখে নেপাল। তবে বাংলাদেশ একটি কর্নার আদায় করে নিতে পারলেও নেপাল কোনো কর্নার আদায় করতে পারেনি।