ভিনিসিয়াস যে কারণে ব্যালন ডি’অর পাননি
২০২৪ সালের বর্ষসেরার ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন ডি’অর ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে পেছনে ফেলে জিতেছেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রদ্রি। ৬৪ বছর পর ছেলেদের ফুটবলে কোনো স্প্যানিশের হাতে উঠল এ পুরস্কার। আর ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন ২৮ বছর বয়সী তারকা।
অবশ্য অনুষ্ঠানের আগেই চারিদিকে চাউর হয়ে গিয়েছিল, ভিনি নয় রদ্রির হাতেই উঠছে ব্যালন ডি’অর। তাই পুরো রিয়াল মাদ্রিদ প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলের অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। ব্যালন ডি’অরের বিজয়ী নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে বলে মনে করে রিয়াল।
ব্যালন ডি’অর না পাওয়াকে ভিনিসিয়াস মনে করছেন, বর্ণবাদের প্রতিবাদ করায় বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি পাননি তিনি। তবে ২৪ বছর বয়সী ফুটবলার কেন সেরা হতে পারেননি, তার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে ব্যালন ডি’অর আয়োজকরা।
যদিও এবার পুরস্কারটি জয়ের সম্ভাবনায় সবচেয়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল ভিনিসিয়াসকে। গত মৌসুমে রিয়ালের চ্যাম্পিয়নস লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি।
এদিকে ফরাসি ক্রীড়া দৈনিক লেকিপের সঙ্গে আলাপে ফ্রান্স ফুটবল- এর প্রধান সম্পাদক ভাঁনসা গাসসিয়া বললেন, ক্লাব সতীর্থ বেলিংহ্যাম ও কারভাহাল শীর্ষ পাঁচে থাকার কারণে ভোটাভুটিতে কিছু পয়েন্ট কম পেয়েছেন ভিনিসিয়াস।
তিনি বলেন, ‘গাণিতিকভাবে তারা (বেলিংহ্যাম ও কারভাহাল) কিছু পয়েন্ট নিয়ে গেছে। এটিও রিয়াল মাদ্রিদের মৌসুমের সারসংক্ষেপ, তাদের তিন বা চার জন খেলোয়াড় বিশ্বের সেরাদের মধ্যে স্থান পেয়েছে এবং জুরিরা তাদের ভোট তাদের (রিয়ালের খেলোয়াড়দের) মধ্যে ভাগ করে দিয়েছে, এতে লাভ হয়েছে রদ্রির।’
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ছেলেদের ফুটবলের শীর্ষ ১০০ দেশের সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত হন ব্যালন ডি’অর বিজয়ী।
গাসসিয়া আরও বলেন, ‘কেউ জানত না, রিয়াল বা সিটির কেউ না। মঞ্চে রদ্রির যে অনুভূতি ছিল, সেটির এর প্রমাণ। তিনি কিছুই জানতেন না। তার এই আবেগই সব জল্পনাকে দূরে ঠেলে দেয়।’