মিরাজের ব্যাটে তৃতীয় দিন শেষে আশায় বাংলাদেশ
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে এক পর্যায়ে ১১২ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তখনো প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার করা রানের চেয়ে ৯০ রান পিছিয়ে টাইগাররা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের ইনিংস হারই দেখছিলেন সবাই। তবে মেহেদী হাসান মিরাজ গল্পটা অন্যভাবে লিখেছেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা জাকের আলী।
বৃষ্টি ও আলোক স্বল্পতায় আজ মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ৫৭.৫ ওভার। এই সময়ে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৮৩। তাতে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৮১ রানে। প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করেছিল প্রোটিয়ারা।
আজ টেস্টের তৃতীয় দিনে ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৩৮ রানে ও মুশফিকুর রহিম অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে। তবে সকালবেলা প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদার পেসে ফিরে যান জয় ও মুশফিক। কিছুক্ষণ পর কেশব মহারাজের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন লিটন দাস। ১১২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন ইনিংস ব্যবধানে হারের প্রহর গুনছে বাংলাদেশ।
এরপরই মিরাজ ও জাকের শো। এই জুটিতে ১৪৫ বলে আসে ১৩৮ রান। টেস্ট ক্রিকেট যেকোনো উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে, ২০০৩ সালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৩১ রানের জুটি গড়েন হাবিবুল বাশার ও জাভেদ ওমর। চট্টগ্রামের সেই জুটিই ছিল এতদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ। দলীয় ২৫০ রানের মাথায় সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়া জাকের পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। ১১১ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫৮ রান করেন এই ম্যাচেই অভিষিক্ত এই ব্যাটার। দলের বিপদের সময় গুরুত্বপূর্ণ এই রান করলেন তিনি। আট নম্বরে নেমে এসেছে জাকেরের এই ফিফটি। মোসাদ্দেক হোসেনের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৮ নম্বরে নেমে অভিষেক টেস্টে ফিফটি করেছেন জাকের।
---আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ফিরছেন নাঈম ও মিরাজ। ছবি: বিসিবি
জাকেরের আউটের কিছুক্ষণ পরই নামে বৃষ্টি। বাংলাদেশ দলের রান তখন ৭ উইকেটে ২৬৭। বৃষ্টির পর আবারও শুরু হয় খেলা। তবে আলোকস্বল্পতার কারণে আম্পায়াররা বলে দেন এই সময়ে বোলিং করতে পারবেন শুধু স্পিনাররা। বোলিং চালিয়ে যান দুই স্পিনার মহারাজ ও এইডেন মার্করাম। যদিও সেইটাও বেশিক্ষণ চালানো যায়নি। তৃতীয় সেশনে মাত্র ৫ ওভার খেলার পরই আলোকস্বল্পতায় খেলোয়াড়রা মাঠ থেকে উঠে যান। পরে আর নামাই হয়নি। তাতে বাংলাদেশের সংগ্রহ পৌঁছায় সেই ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রানে। ১৭১ বলে ৯টি চার ও ১ ছক্কায় ৮৭ রান করে অপরাজিত মিরাজ। আরেক পাশে ২৮ বলে ১ চারে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে মিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন নাঈম হাসান।