প্রতি দশকে এক উইকেট, ৬০ রানে ৬ জনকে হারিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
১ থেকে ১০ রানের মধ্যে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এভাবে ১১ থেকে ২০ রানের মধ্যে একটি, ২১ থেকে ৩০ রানের মধ্যে একটি, ৩১ থেকে ৪০ রানের মধ্যে একটি, ৪১ থেকে ৫০ রানের মধ্যে একটি ও ৫১ থেকে ৬০ রানের মধ্যে একটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। অর্থাৎ, রানের প্রতিটি দশকে একটি করে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটির প্রথম দিনে ৬০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। একে একে ফিরে গেছেন সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসাইন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। তবে নিজেদের নেওয়া এই সিদ্ধান্ত যেন হিতে বিপরীত হয়ে ধরা দিল। ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট দিয়ে আসেন সাদমান। কোনো রান করার আগেই উইয়ান মুল্ডারের বলে স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তিনে নেমে মুমিনুল হকও ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। সেই মুল্ডারের বলেই দলীয় ১৩ রানে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি।
১৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ২১ রানের মধ্যে হারায় আরও ১ উইকেট। আবারও বাংলাদেশ শিবিরে আঘাত হানেন মুল্ডার। তার বলে কেশাভ মহারাজকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৭ বলে ৭ রান করা শান্ত। বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায় দলীয় ৪০ রানের মাথায়। মুশফিককে (১১) সরাসরি বোল্ড করেন কাগিসো রাবাদা।
লিটন দাসও আজ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৩ বলে ১ রান করে রাবাদার বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। একপাশে উইকেট পতনের মিছিল দেখলেও অবিচল থাকেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ষষ্ঠ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। তবে দলীয় ৬০ রানে মিরাজ ফিরলে ভাঙে সেই আশাও। ২৪ বলে ৩ চারে ১৩ রান করে মহারাজের বলে এলবিডব্লিউ হন এই অলরাউন্ডার। প্রথম সেশনে ২৬ ওভার ১ বল খেলা হওয়ার পরই মধ্যাহ্ন বিরতি ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।