শিরোপা জিতলেই ইতিহাস
পুরুষ বা নারী কোনো বিশ্বকাপেই শিরোপা জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। তবে এবার সেই খরা কাটতে যাচ্ছে। কেননা চলমান আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে এই দুদল। ফলে যেই শিরোপা জিতুক না কেন, ইতিহাস ঠিকই লেখা হবে।
আজ রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলেরই ফাইনাল হারের অভিজ্ঞতা আছে। নিউজিল্যান্ডের এটা হতে যাচ্ছে তৃতীয় ফাইনাল। আর দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয়। সেমিফাইনালে দুই দল বিদায় করেছে দুই চ্যাম্পিয়নকে। প্রথম সেমিফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ে গতবারের ফাইনাল হারের মধুর প্রতিশোধ নিল প্রোটিয়ারা। পরশু রাতে শেষ চারের দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করেছে নিউজিল্যান্ড। কিউইরা জিতেছে ৮ রানে।
দীর্ঘ এক যুগ পর কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল নিউজিল্যান্ড নারী দল। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অলআউটের আশঙ্কা এড়িয়ে ৯ উইকেটে ১২৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৮ উইকেটে ১২০ রান তুলতে সক্ষম হয় ক্যারিবীয় নারীরা। ব্যাটিংয়ে নামা নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান যোগ করে তারা। ২৬ করে আউট হন সুজি বেটস। আরেক ওপেনার জর্জিয়া প্লিমার ৩৩ রান করেন। দুই ওপেনারের বিদায়ে কমে যায় রানের গতি। কোনো ব্যাটার পারছিলেন না থিতু হতে। অভিজ্ঞ সোফি ডিভাইন ১২ এবং শেষ দিকে ইসাবেলা গেজে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। জবাব দিকে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কখনও জয়ের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি। দলটির বেশির ভাগ ব্যাটার আউট হয়েছেন বাজে শট খেলে। কিছুটা ব্যতিক্রম ছিলেন দিয়ান্দ্রা ডটিন। ২২ বলে ৩৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ডটিনের আউটেই জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের। শেষ দিকে আফি ফ্লেচারের অপরাজিত ১৭ রানের ইনিংসটা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। শেষ ওভারে ১৫ রানের সমীকরণ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু ১ উইকেট হারিয়ে কেবল ৬ রান তুলতে পারে তারা।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম দ্ইু আসরেই ফাইনাল খেলেছিল নিউজিল্যান্ড। দুবারই হেরেছে তারা। ২০০৯ সালে প্রথমবার ইংল্যান্ডের কাছে এবং পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারতে হয়েছে কিউইদের। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমবার ফাইনালের টিকিট পায়। প্রোটিয়াদের হারিয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ ছয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া। বিস্ময়কর হচ্ছে নয় আসরের মধ্যে কেবল দুবার ফাইনালে উঠতে পারেনি অজিরা। প্রথমবার ২০০৯ সালে ব্যর্থ হয়েছে তারা। পরে টানা ৭ বার ফাইনালের টিকিট কেটেছেন অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠা দলটিকে এবার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে দিল দক্ষিণ আফ্রিকা।