চ্যালেঞ্জ জেনেই বাংলাদেশে এসেছেন নতুন কোচ সিমন্স
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়া যেন এক অনিশ্চিত যাত্রা। ২০১৭ সালে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বিদায় নেওয়ার পর এই পর্যন্ত পাঁচবার কোচ বদল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তাদের কারো বিদায়ই সুখকর নয়। সবশেষ দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হিসেবে আসা হাথুরুসিংহেকে সরিয়ে বসানো হয় ফিল সিমন্সকে। তবে এসব বাস্তবতা জেনেই বাংলাদেশ দলকে সামলানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার।
গত মঙ্গলবার বরখাস্ত করা হয় হাথুরুসিংহেকে। তার পরদিন সকালে ঢাকায় পা রাখেন সিমন্স। আজ শনিবার প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে এসে সিমন্স বলেন, ‘যে কোনো আন্তর্জাতিক দলের কোচের চাকরিই চাপের। আপনি বলতে পারেন, বাংলাদেশ একরকম বা পাকিস্তান আরেকরকম। তবে আমার কাছে বিষয়টা হলো ক্রিকেটারদের তৈরি করা, সব কিছু উপভোগ করা এবং ম্যাচ জেতা। এই মুহূর্তে আর কিছু নিয়ে ভাবছি না। গত দুই দিন সব কিছু খুব ভালো গেছে।’
বাংলাদেশের এই দলের সঙ্গে কাজ কেমন হবে সেই প্রসঙ্গে এই ক্যারিবিয়ান বলেন, ‘দুই দিনেই আমি বলতে পারব না, (কাজ) কতটা কঠিন। খুব বেশি দিন হয়নি যে তরুণ ক্রিকেটাররা পারফর্ম করেছে। পাকিস্তানে গিয়ে জেতা সহজ কাজ নয়। হ্যাঁ, তরুণ ক্রিকেটারদের উন্নতির কাজটা কঠিন, সব জায়গায়ই কঠিন। তবে তাদের সঙ্গে কথা বলে আমি যা বুঝতে পেরেছি, তাদের মধ্যে সেই আকাঙ্ক্ষাটা আছে।’
আগামী সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে প্রথম টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। তবে মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকা এখনো ব্যস্ত। কয়েকদিন আগে, সাকিব আল হাসান যাতে দেশে ফিরতে না পারেন সেজন্য বিক্ষোভ হয়েছে। এবার সাকিবের সমর্থকরা তাকে ফেরানোর দাবিতে করছেন বিক্ষোভ। তবে সব ছাপিয়ে ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়ার কথা বললেন সিমন্স।
সিমন্সের ভাষ্য, ‘বড় ভাবনার বিষয় এটি (বাইরের ঘটনায় মনোযোগ হারানো)। আগামী কিছু দিন আমাদের কাজের বড় একটি অংশ হবে ক্রিকেটারদের যাতে বাইরের কিছু নিয়ে চিন্তা না করতে হয়, সব মনোযোগ মাঠের ক্রিকেটেই থাকে। আমাদের হাতে থাকা বিষয়গুলোই আমরা কেবল নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সোমবারের জন্য (টেস্টের প্রথম দিন) কীভাবে প্রস্তুত হবো, আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। এভাবেই দলের মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা করছি।’