মরিনহোর সঙ্গে পগবার সম্পর্ক ‘প্রেমিক-প্রেমিকা’র মতো
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহোর অধীনে খেলেছেন পল পগবা। সেই সময়ে ফ্রান্সের এই বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড়ের সঙ্গে মরিনহোর সম্পর্কটা ছিল উষ্ণ-শীতল। পগবার ব্যাখ্যা অনুযায়ী এটি প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কের মতো।
২০১৬ সালে রেকর্ড ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডে (১১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে প্রত্যাবর্তন করেন পগবা। তখন সেটাই ছিল সবচেয়ে বেশি মূল্যের দলবদল। রেড ডেভিলদের কোচ হয়ে পগবার সঙ্গে এই চুক্তি করেন মরিনহো। এর আগে, ২০১২ সালে ইউনাইটেড ছেড়ে জুভেন্টাসে গিয়েছিলেন পগবা।
ইউনাইটেডে ফিরেই দারুণ সময় কাটান পগবা। সেসময় ক্লবাটি কমিউনিটি শিল্ড, লিগ কাপ ও ইউরোপা লিগ জেতে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মরিনহোর সঙ্গে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো পগবার। তথ্য গোল ডটকমের।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ইউনাইটেড থেকে বরখাস্ত হন পগবা। সম্প্রতি পগবা জানান, মরিনহোর সঙ্গে তার পথচলা মসৃণ ছিল না, ‘আমাদের সম্পর্ক ছিল প্রেমিক-প্রেমিকার মতো। আমরা সবসময় ঝগড়া করতাম, আবার মিলে যেতাম। শুরুটা (ইউনাইটেডে) দারুণ হয়েছিল। আমার ম্যানচেস্টারে ফেরার সবচেয়ে বড় কারণ ছিলেন তিনি। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং তিনি আমাকে ফিরে যেতে রাজি করিয়েছিলেন।’
পগবা আরও বলেন, ‘আমি জানি না কেন এটি একটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল এবং আমরা লড়াই করছিলাম। লড়াইটা আমি শুরু করিনি। আমরা অন্যান্য কোচ-খেলোয়াড়দের মতোই বিরোধে জড়াতাম। তবে তার প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা রয়েছে। আগামীকাল যদি আমি তাকে দেখতে পাই তবে এটি একটি বড় আলিঙ্গন দিব! তবে একদিন আমাদের একসঙ্গে বসে আলোচনা করতে হবে।’
বর্তমানে ফুটবলের বাইরে আছেন পগবা। ডোপিং কাণ্ডে জড়িয়ে ৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন জুভেন্টাসের এই তারকা। তবে কোর্ট অব অরবিটরেশেন ফল স্পোর্টে (সিএএস) মামলা করে সেই নিষেধাজ্ঞা ১৮ মাসে কমিয়ে এনেছেন তিনি।