বাধা উতরে সাফল্য ছুঁয়েছে শিক্ষার্থীরা
গড় পাসের হার ৭৭.৭৮ ।। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১,৪৫,৯১১
একের পর এক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে অবশেষে সাফল্যের দেখা পেয়েছে উচ্চ মাধ্যমিকের ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ শিক্ষার্থী। গতকাল মঙ্গলবার এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে এই সাফল্যের আনন্দ নেমে আসে এসব শিক্ষার্থীর ঘরে ঘরে। অথচ তাদের এই সাফল্য অর্জনের পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। অষ্টম শ্রেণি থেকে দীর্ঘ কণ্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে তাদের শেষ করতে হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত বিপদশঙ্কুল এক শিক্ষাযাত্রা। বিপত্তির শুরু ২০২০ সালে। ওই সময় যখন তাদের জেএসসি ও সমানের পরীক্ষা হওয়ার কথা, কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষায় বসা হয়নি। পরের দুই বছর ঠিকমতো শ্রেণিপাঠেও ছিল ঘাটতি। এতে করে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দিতে হয়েছিল।
করোনা মহামারির রেশ না কাটতে ২০২৪ সালের প্রাকৃতিক বন্যা প্রথম বাধা হয়ে দাঁড়ায় উচ্চ মাধ্যমিকের বোর্ড পরীক্ষায়। এরপর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মাঝপথে আটকে যায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল।
অন্তর্বর্তী সরকার এবার ফল প্রকাশ নিয়ে কোনো আয়োজন রাখেনি। কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বেলা ১১টায় নিজ নিজ বোর্ডে ফল ঘোষণা করেন। এ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেওয়া হয় ফল। যদিও ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইন থেকে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে তার ফল।
স্বাভাবিকভাবে সব পরীক্ষা দিতে পারেনি এই ছেলেমেয়েরা। এরপরও ভালো ফল করেছে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যদি স্বাভাবিকভাবে সব পরীক্ষা হতো, তাহলে এ ফলাফলকে গড়পড়তা (অ্যাভারেজ) বলা যেত। কিন্তু অর্ধেকের বেশি বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি। সেখানে কিছু শিক্ষার্থী তো ফেল করত। অথচ সেগুলো সবাই পাস করেছে। যদিও পাসের হার কিছুটা কমেছে। আরও ভালো হতো জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব না থাকলে।
এবার এইচএসসির অনুষ্ঠিত সাতটি বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর এবং বাকি বিষয়ের ক্ষেত্রে এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল প্রকাশ করা হয়। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড পৃথকভাবে এ ফল প্রকাশ করে। এ বছর পাস করেছে ৭৭.৭৮ শতাংশ শিক্ষার্থী, যা আগের বছরের তুলনায় সামান্য কম।
এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, আলিম ও এইচএসসি-ভোকেশনালে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা অর্ধ লাখের বেশি বেড়েছে।
যে কারণে জিপিএ-৫ বেড়েছে : জিপিএ-৫ বেড়ে যাওয়ার পেছনে কারণ জানতে চাইলে অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগের যে শিক্ষার্থীরা বিভাগ পরিবর্তন করে মানবিক বা ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের এসেছে, তারা সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের সুফল পেয়েছে। যেমন পদার্থবিজ্ঞানে জিপিএ-৫ নিয়ে যে শিক্ষার্থী এসএসসি উতরে মানবিকে এসেছে, পরীক্ষা হলে ইসলামের ইতিহাস বা অর্থনীতিতে তার জিপিএ-৫ পাওয়ার সম্ভাবনা কম ছিল। কিন্তু সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে বিভাগ পরিবর্তন করা ওই সব শিক্ষার্থী অর্থনীতি বা ইসলামের ইতিহাসের মতো বিষয়গুলোতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর জিপিএ-৫ অর্জনের সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের কারণে চলতি বছর জিপিএ-৫ বৃদ্ধির একটি কারণ।
জিপিএ-৫ পাওয়া ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ঐশ্বর্য সাফল্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাসায় পড়তে বসছি, কিন্তু মাথায় ছিল রাস্তায় চলা আন্দোলন। আন্দোলন যখন তীব্র হচ্ছিল, আমাদের ভাইয়েরা যখন মারা যাচ্ছিল একের পর এক, এসব দেখে বাসায় বসে থাকতে পারিনি। এরপর অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে পরীক্ষাও দিয়েছি। প্রত্যাশা অনুযায়ী জিপিএ-৫ পেয়েছি।’
আরও পড়ুন:
একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, কোনো একটা ফ্যামিলিতে যদি কেউ নিহত হয়, তাহলে তার প্রভাব সেই পরীক্ষার্থীর ওপর প্রভাব পড়ে। পরীক্ষার মাঝে আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে, শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্যে ছিল। এই ট্রমা থেকে বের হয়ে আবার পুনরায় পরীক্ষায় বসা ওদের জন্য অনেকখানি কঠিন ছিল। তবুও শিক্ষার্থীরা সাফল্য ছুঁয়েছে।
গত বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৭৮.৬৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। গতবারের সঙ্গে তুলনা করলে এ বছর পাসের হার কমেছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬ জনে।
শিক্ষার্থীদের সাফল্য প্রসঙ্গে মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জিয়াউল আলম বলেন, শিক্ষার্থীদের অদম্য অধ্যবসায় তাদের সাফল্য এসেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তি বেড়েছে কারণ, কিছু বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে নাম্বার পাওয়ায় ভালো ফলের জন্য সহায়ক হয়েছে।
ভালো ফল করার প্রতিক্রিয়ায় রাজধানীর নটর ডেম কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া মাহমুদ জানান, পদে পদে বিপত্তি উতরে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পার হলাম। কৃতজ্ঞতা আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষদের প্রতি। আমার মা-বাবাকে সন্তুষ্ট করতে পেরে ভালো লাগছে।
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. এমাম হোসাইন বলেন, অনেক শিক্ষার্থী মিডটার্ম পরীক্ষার ফল খারাপ করে। পরবর্তী সময়ে তারা চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নেয়। এ কারণে তারা বোর্ড পরীক্ষা ভালো ফল করেছে।
পাস বেশি সিলেট, ঢাকায় জিপিএ : ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯.২১ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৮ হাজার ৫৪৮ জন। রাজশাহীতে পাস ৮১.২৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪ হাজার ৯০২ জন। কুমিল্লায় পাস করেছে ৭১.১৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ হাজার ৯২২ জন। যশোরে পাস ৬৪.২৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৭৪৯ জন। চট্টগ্রামের পাস ৭২.৪৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ২৬৯ জন। বরিশালে পাস করেছে ৮১.৮৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৬৭ জন। সিলেটে পাস ৮৫.৩৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৬৯৮ জন। দিনাজপুরে পাস ৭৭.৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২৯৫ জন। ময়মনসিংহে পাস ৬৩.২২ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৮২৬ জন। মাদ্রাসায় পাস ৯৩.৪০ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ হাজার ৬১৩জন এবং কারিগরি বোর্ডে পাস ৮৮.০৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ৯২২ জন।
ইংরেজি ও আইসিটিতে ফেল : শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের মোট সাতটি বিষয়ের পরীক্ষা দিতে হয়। তার মধ্যে চারটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে। বাকি তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা সবারই বাতিল হয়েছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর মধ্যে ইংরেজি ও আইসিটির মতো আবশ্যিক বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের ফেলের হার বেশি। যে বোর্ডগুলোতে এ দুটি বিষয়ে বেশি ফেল করেছে, সেখানে পাসের হারও কমেছে। এতে নিম্নমুখী হয়েছে গড় পাসের হার।
সিলেটে ইংরেজি পরীক্ষা হয়নি, নম্বর ১০০ : বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডে পরীক্ষা শুরু হয় দেরিতে। বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। ৯ জুলাই থেকে আইসিটির মাধ্যমে সিলেট বোর্ডে পরীক্ষা শুরু হয়। পরে পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় সিলেটের পরীক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে আর পরীক্ষা দিতে হয়নি। এসএসসিতে বাংলা ও ইংরেজিতে তারা যে নম্বর পেয়েছি, সেটাই এইচএসসিতে অটোমেটিক তাদের ফলাফলে যুক্ত হয়েছে। এ দুটি বিষয়ে সিলেটে পাসের হার শতভাগ।
ছাত্রীরা এগিয়ে : ফলে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীরা এবার ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেশি পাস করেছে এবং ১৫ হাজার ৯৫৫ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ছেলে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৯৫ জন এবং মেয়ে ৫ লাখ ৩১ হাজার ৭১৪ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০ হাজার ৯৩৩ জন মেয়ে ও ৬৪ হাজার ৯৭৮ জন ছেলে।
শূন্য পাস-ফেল : দেশের ১ হাজার ৩৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এবং ৬৫টি কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া কেউ পাস করতে পারেনি।
বিদেশ কেন্দ্র পাস : এ বছর আটটি বিদেশ কেন্দ্রে বসে ২৮২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৬৯ জন। এ বছর আটটি বিদেশ কেন্দ্রে বসে ২৮২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন ২৬৯ জন।
মাদ্রাসা বোর্ডে প্রথম তা’মীরুল মিল্লাত : মাদ্রাসা বোর্ডে এবারও সর্বোচ্চসংখ্যক পাসের হার এবং জিপিএ-৫ পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা। বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের ৯ হাজার ৬১৩ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১ হাজার ২৩৪ টি জিপিএ-৫ পেয়েছে তা’মীরুল মিল্লাত ট্রাস্ট পরিচালিত তিনটি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। মাদ্রাসার তিনটি ক্যাম্পাস হলো- তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা (বালক ও বালিকা) টঙ্গী ক্যাম্পাস, তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পাস। তা’মীরুল মিল্লাত মহিলা কামিল মাদ্রাসা মাতুয়াইল ডেমরা। এর মধ্যে টঙ্গী ক্যাম্পাস থেকে ১ হাজার ৩১৫ জন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৮৬ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পাস থেকে এবার ৪১৫ জন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। মাতুয়াইল ক্যাম্পাস থেকে এ বছর ২২৬ জন অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৩৯ জন ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তা’মীরুল মিল্লাত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, এই মাদ্রাসার উদ্দেশ্য শুধু সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন নয়। বরং দেশ ও জাতির ক্রান্তিলগ্নে তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা আদর্শিক ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন : প্রকাশিত এই ফলাফলে কেউ যদি সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জ বা ফল পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ রয়েছে। এই ফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য শিক্ষার্থীদের টেলিটক সিম ব্যবহার করে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। পুনঃনিরীক্ষণ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে আজ বুধবার, যা চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন প্রক্রিয়ার ফি ও বিস্তারিত তথ্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন