পাকিস্তানের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা ব্যর্থ হচ্ছে পাকিস্তান। লাল বলের ক্রিকেট টেস্টে ঘরের মাঠে টানা ৬টি ম্যাচে হেরেছে তারা। অধিনায়ক শান মাসুদের নেতৃত্বেও টানা ৬ ম্যাচ হেরেছে দলটি। সবশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মুলতানে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করেও হার দেখেছে এক সময়ের প্রতাপশালী দলটি।
পাকিস্তানের এমন বাজে পারফরম্যান্স বিস্মিত ভক্ত ও ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের জনপ্রিয় ক্রীড়া গণমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান এই ব্যর্থতার পেছনের কারণ হিসেবে তুলে এনেছে অভ্যন্তরীণ সমস্যার কথা। বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, অনেক খেলোয়াড়ই দলীয় সাফল্যের চেয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
‘ক্রিকেট পাকিস্তান’ দলটির ক্রিকেটে অবস্থাকে উল্লেখ করেছেন ‘ভয়াবহ’ হিসেবে। ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানায়, ‘খেলোয়াড়রা দলের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তা করার চেয়ে নিজেদের অবস্থান সুরক্ষিত করার দিকে বেশি মনোযোগী।’
খেলোয়াড়দের জাতীয় দলে উঠে আসা নিয়েও পিসিবির কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। পিসিবি কর্মকর্তারা মনে করেন, দেশে নতুন প্রতিভার ঘাটতি আছে। এ কারণেই বর্তমান ক্রিকেটারদের ওপর বেশি নির্ভর করা হচ্ছে। তবে এটি সত্য নয়। এছাড়া ক্রিকেটারদের ফিটনেসের অবস্থাও ভালো নয়। দলের একাধিক খেলোয়াড় ফিটনেস মানের নূন্যতম রেখাও অতিক্রম করতে পারেননি।
মুলতান টেস্টের আগে শুধু মিডল অর্ডার ব্যাটার সৌদ শাকিল তার ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করেন। আট মিনিটের মধ্যে ২ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে পারেননি তারা।
দলের অধিনায়কত্বের বিষয়টিও আছে আলোচনায়। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, এসব বিষয় নিয়ে ভুগছেন বাবর আজম। মাঠে তার শারীরিক ভাষা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে এবং তার ব্যাটিংয়ে মান নিয়েও আছে প্রশ্ন। মানসিক চাপ নিতে পারছেন না তিনি।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়া সফর করেন মাসুদ। সেবার ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরে ফেরে তার দল। এরপর ঘরের মাঠে বাংলাদেশ তাদের উড়িয়ে দেয় ২-০ ব্যবধানে। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট হার।