নাম বা চেহারা দেখেই কি সব করা হয়, বিপিএল নিয়ে বিস্ফোরক ইমরুল

স্পোর্টস ডেস্ক
১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:২৬
শেয়ার :
নাম বা চেহারা দেখেই কি সব করা হয়, বিপিএল নিয়ে বিস্ফোরক ইমরুল

২০১৯ সালে সবশেষ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন ইমরুল কায়েস। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলে নিয়মিতই খেলছেন সাবেক এই টপঅর্ডার ব্যাটার। কয়েকদিন পরই হবে বিপিএলের একাদশতম আসরের ড্রাফট। সেই ড্রাফটেও আছে ইমরুলের নাম। 

ড্রাফটের ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ইমরুলকে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা নূন্যতম ২৫ লাখ করে টাকা পাবেন। তবে নিজেকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখায় ইমরুল একটু ক্ষোভই ঝাড়লেন। আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নিজের ক্ষোভ উগড়ে দেন এই ব্যাটার। নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফট করা হয় নাকি, এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

ইমরুল লিখেছেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং দেখে চিন্তা করছি গ্রেডিংটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছরজুড়ে ক্রিকেটের আশেপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো ‘বি’ গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা ‘সি’ গ্রেডে। তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয় ‘

নিজের পারফরম্যান্সের অতীত ইতিহাস টেনে ইমরুল বলেন, ‘বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোন সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম।’

এর পরও হার মানেননি বলে জানান ইমরুল, ‘তবে জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোনো ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?’

প্রসঙ্গত, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ২৭ ডিসেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে বিপিএলের ১১তম আসর। তার আগে আগামী ১৪ অক্টোবর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। এ উপলক্ষে দেশি ক্রিকেটারদের ৬টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ থেকে ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে মোট ১৮৮ জনকে রাখা হয়েছে ড্রাফটে।