‘মুলতানের মহাসড়কে’ অভাবনীয় হারের পথে পাকিস্তান
মুলতানে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দুই দিনই প্রায় খেলেছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে তোলে ৫২৬ রানের বিশাল সংগ্রহ। এরপর হার তো ভাবনার বাইরের বিষয়, জয় কিংবা ড্রয়ের চিন্তা করাই স্বাভাবিক। তবে পাহাড়সম এই রান করেও টেস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইনিংসের ব্যর্থতায় হারের মুখে শান মাসুদের দল।
টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫০ ওভার খেলে ৭ উইকেটে ৮২৩ রান করে পাকিস্তানকেও অনেক পেছনে ফেলে দেয় ইংল্যান্ড। ২৬৭ রানের লিড নিয়ে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেয় ওলি পোপের দল। চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে নেমে খেই হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে শঙ্কায় পড়ে ইনিংসসহ বড় ব্যবধানে হারার। যদিও সপ্তম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন ৭০ রানের জুটিতে ব্যবধান কিছুটা কমায় পাকিস্তান। তবে তাতে ম্যাচ হারের শঙ্কা কমেনি। ৬ উইকেটে ১৫২ রান তুলে চতুর্থদিন শেষ করা ইংলিশদের চেয়ে পাকিস্তান এখনো পিছিয়ে ১১৫ রানে। এখনো বাকি আছে পুরো একটি দিন, হাতে আছে মাত্র ৪ উইকেট।
পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের প্রথম দুই ইনিংসে রান হয়েছে ১ হাজার ৩৭৯। তাইতো মুলতানের এই পিচকে সবাই আখ্যা দিয়েছেন মহাসড়ক হিসেবে। এই প্রথম টেস্টের কোনো ইনিংসে আট শ’র বেশি রান হজম করল পাকিস্তান। এর আগে দলটি সর্বোচ্চ ৭৯০ রান হজম করেছিল, ১৯৫৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
আজ পাকিস্তানের বোলারদের তুলোধুনো করেছেন জো রুট ও হ্যারি ব্রুক। ডাবল সেঞ্চুরি করা রুট আউট হয়েছেন ২৬২ রান করে। আর ব্রুক ট্রিপল সেঞ্চুরি করে আউট হয়েছেন ৩১৭ রান করে। দুজনে মিলে গড়েছেন ৪৫৪ রানের রেকর্ড জুটি।
একুশ সেঞ্চুরিতে কোনো ইনিংসে এই প্রথম ৮০০ রানের মাইলফলক অতিক্রম করল কোনো দল। সবশেষ ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯৫২ রান করেছিল শ্রীলংকা। টেস্টের কোনো ইনিংসে সেটিই সর্বোচ্চ রান। এর আগেও দুইবার আটশ রানের মাইলফলক অতিক্রম করেছে ইংল্যান্ড। ১৯৩০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৮৪৯ ও পরে ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯০৩ রান করেছিল ইংলিশরা।