নীতীশ-রিংকুর ঝড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের রানের পাহাড়

স্পোর্টস ডেস্ক
০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২১:১৪
শেয়ার :
নীতীশ-রিংকুর ঝড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের রানের পাহাড়

বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ব্যাটে ঝড় তুলেছেন ভারতের ব্যাটাররা। বিশেষ করে নীতীশ কুমার রেড্ডি ও রিংকু সিং। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে এই দুজনের হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের পাহাড়সম স্কোর গড়েছে ভারত। 

আজ টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুর ওভারে এসে মেহেদী হাসান মিরাজ ১৫ রান দিলে রানবন্যার আশঙ্কা দেখা দেয় বাংলাদেশ শিবিরে। তবে এরপর পাওয়ার প্লের বাকি ৫ ওভার করেন পেসাররা। এই সময়ে তারা রানে কিছুটা লাগাম দেন। পাওয়ার প্লেতে ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করে ভারত। 

দলীয় দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে সঞ্জু স্যামসনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। দলীয় ১৭ রানের মাথায় ১০ রান করে শান্তকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এই ম্যাচে শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে জায়গা পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। নিজের প্রথম ওভারে সাফল্য পেয়েছেন তিনিও। ১১ বলে ১৫ রান করা অভিষেক শর্মাকে সরাসরি বোল্ড করেছেন এই ডানহাতি পেসার। 

আগের ম্যাচে দুইশর ওপর স্ট্রাইকরেট রেখে ব্যাট করলেও আজ নিষ্প্রভ ছিলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। দলীয় ৪১ রানের মাথায় মোস্তাফিজুর রহমানের বলে সেই শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর নীতীশের সঙ্গে জুটি বাধেন রিংকু। 

এদিন স্পিনাররা রান দিয়েছেন দুহাত ভরে। ৮ ওভারে ভারতের রান ছিল মাত্র ৬২। পরের দুই ওভারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও রিশাদ হোসেন দিয়েছেন ৩৯ রান। প্রথম ১০ ওভারেই ১০১ রান করে ফেলে বাংলাদেশ। ভারতের রানের এই প্রবাহ আর থামানো যায়নি। যদিও তাসকিন ও মোস্তাফিজরা রানের বেশ লাগাম দিয়েছেন। 

চারে নামা নীতীশ ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৭ ছক্কায় ৭৪ রান করেন। তারে পরে নামা রিংকু সিংও ছিলেন বিধ্বংসী। ২৯ বলে ৫টি চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষের দিকে ভারতের উইকেট একের পর এক পড়লেও রানের প্রবাহ থামেনি। ছয়ে নামা হার্দিক পান্ডিয়া ১৯ বলে ৩২ ও সাত নম্বরে নামা রিয়ান পরাগ ৬ বলে ১৫ রান করেন। তাতে ৯ উইকেটে ২২১ রানে থামে ভারত। 

বল হাতে অন্যরা যেখানে দুহাতে রান বিলিয়েছেন, সেখানে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম ছিলেন তাসকিন। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে মাত্র ১৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ৪ ওভারে ৩৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নিয়ে মন্দ করেননি মোস্তাফিজও। ৩ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে লেগ স্পিনার রিশাদ দিয়েছেন ৫৫ রান। আরেক দিকে উইকেটশূন্য মিরাজ ৩ ওভারে দিয়েছেন ৪৬ রান। তৃতীয় স্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৫ রান দিয়েছেন। প্রথম ৩ ওভারে ভালো করলেও নিজের শেষ ওভারে রান বিলিয়ে ৫০ রান হজম করেছেন ২ উইকেট পাওয়া তানজিম হাসান সাকিব।