এবার স্পিনার হেডের ঝলক, ইংল্যান্ডকে সিরিজ হারাল অস্ট্রেলিয়া
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজজুড়ে ব্যাট হাতে দানবীয় ইনিংস খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্রাভিস হেড। ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সিরিজ নির্ধারণী ও শেষ ম্যাচে বল হাতে ঝলক দেখালেন হেড। তুলে নিয়েছেন ইংলিশদের ৪ উইকেট। এমন দিনে স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিতে এগিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পরের দুই ম্যাচে আবার জয় তুলে নিয়ে সিরিজ জমিয়ে তোলে ইংল্যান্ড। রবিবার সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতিতে জয় পায় ৪৯ রানে। ব্রিস্টলের কাউন্টি গ্রাউন্ডে প্রথমে ব্যাট করে ৪ বল বাকি থাকতে ৩০৯ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা। জবাব দিতে নেমে ২০ ওভার ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এরপর বৃষ্টির কারণে আর খেলা না হওয়ায় ডিএলএস পদ্ধতিতে জয় পায় সফরকারীরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের শুরুর অর্ধটা ছিল বিধ্বংসী। প্রথম ২৫ ওভারে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই ২০২ রান করে ফেলে তারা। ওপেনার বেন ডাকেট ৯১ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ১০৭ রান। ২৭ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন আরেক ওপেনার ফিল সল্ট। তিনে নামা উইল জ্যাকস ব্যর্থ হলেও চারে নেমে ফর্ম বজায় রাখেন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। আগের দুই ম্যাচে ঝোড়ো অপরাজিত ১১০ ৮৭ রানের পর এবার ৫২ বলে ৭২ রানের আরেক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ব্রুক।
তবে নিজেদের ইনিংসের শেষের অর্ধে একদমই রান পায়নি ইংল্যান্ড। অজি স্পিনারদের তোপে পড়ে শেষ ২৪.২ ওভারে করে মাত্র ১০৭ রান। এ সময়ে হারায় ৭ উইকেট। ৩৫ বলে ৩৬ রান করে মান বাঁচান নয়ে নামা আদিল রশিদ। ৬.২ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার ট্রাভিস হেড।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টির একটা সম্ভাবনা ছিলই। তাই রান তাড়া করতে নেমে আগ্রাসী শুরু করে অস্ট্রেলিয়াও। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৩০ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার ম্যাথু শর্ট। বোলিংয়ে ৪ উইকেট পাওয়ার পর ব্যাটিংয়ে ২৬ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে ৩১ রান করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হেড।
প্রথম ৭ ওভারেই অস্ট্রেলিয়া তুলে ফেলে ৭৮ রান। ২৩ বলে ফিফটি করেন শর্ট। প্রথম ১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করে ১ উইকেটে ১০৩ রান। তবে ২ উইকেট হারিয় ১৬৫ রান করার পর নামে বৃষ্টি। মিচেল মার্শ না থাকায় এই ম্যাচের অধিনায়ক ছিলেন স্টিভেন স্মিথ। ৪৮ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আরেক পাশে ২০ বলে ২৮ রানে অপরাজিত ছিলেন জস ইংলিস। ম্যাচসেরার পাশাপাশি সিরিজের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন হেড।